সন্তান যখন বড় হয়ে গেল....
বড় হয়ে গেল তার চিন্তা চেতনা
বড় হয়ে গেল তার ভবিষ্যত ধারনা কিবা
বিশাল পার্থক্য অতীত আর বর্তমানের সাথে।
বাবা দেখিতে চায় সন্তান তার মতই বাল্য, কৈশোর যৌবন করিবে চর্চা ,
কিন্তু হাতে এসেছে যে ইলেকট্রিক মিনি ওয়ার্ল্ড
প্রযুক্তি নামে তার নিজস্ব কিছু যুক্তি আছে সমসাময়িক ভাবে।
তাই পিতা বুঝিয়াও মানিলো না
জানিতেই পারিলো না জানিয়া ,
কেন
সন্তানের চোখে সব ফুল ফুল লাগে।
কেন হরিণের পায়ের জুতায় চলে সবখানে?
কেন সন্তান তাহার শীতের রাতেও ফ্যান চালিয়ে
ঘুমায় দিগম্বর হয়ে...।
জানিলো না আড্ডায় আড্ডায় যে মুক্ত পাখি
খাঁচা ছেড়ে দাড়ায় আয়নার সম্মুখে...
সে সব আয়না নেই পিতার আবদ্ধিত আলয়ে।
নেই সিডর , আইলা, ইবোলা, এইডস এর মত
অনেক নিত্য নতুন যুদ্ধ পুরাতন লাল কাপড়ে বাধা বুকে।
নেই ফেইসবুক , নেই ইউটিউব, নেই পুস্তক বিহীন ;
কালি কলম হীন ম্যাসেঞ্জার  বোতাম
পিতার পুরাতন শার্টে।
পিতা চায় পুত্র ঘুমাক কিবা জাগুক তার মত
চলুক তার মস্তিস্কের পায়ের তালে
স্বপ্ন তার অধুরা আছে যত।
পিতা ভাবে খোকা তার খোকাই আছে
এখনো তাকে শিখাতে হবে কথা
এখনো তার বাধিয়া দিতে হবে
পায়ের জুতার ওই ফিতা।
এখনো তাকে পছন্দ করে দিতে হবে  পছন্দ।
এখনো তাকে শিখাতে হবে ভাল আর মন্দ।


ভুল করে ভোলায় দিল পিতা
নিজেরই ভুল...
সন্তানের আজ আলাদা এক বালিশ আছে
আছে আলাদা এক রুম ।
আলাদা এক চশমা আছে, আছে আলাদা এক দেয়াল ঘড়ি।
আলাদা আলাদা সবকিছু তার
আলাদা কল্প তরী।
সন্তান এখন নিজেই তার জুতা কিনে
নিজেই কিনে কিতাব।
টর্চ হয়ে আছে যদিও
তার
পিতার স্বভাব।