পাড়ায় যখন বৈদ্যুতিক গোলযোগ হত
তখন সবার গায়ে লাগিতো সেই রকম গরম।
প্রচন্ড দাবদাহের নিশ্চুপ বেয়াদব আথিতেয়তায়
চারদিক কেপে উঠতো বৈশাখি সোহাগে..
মনে হত এই বুঝি নামিলো কোন শনিদেব
শনির কর্মে মস্তিস্ক দখল কাজে।
টাটকা মাছের থালার বুক লাফা লাফিতে
জনপদে জনবাষ্পের যে দীর্ঘশ্বাস
সেখানে সেই ছিল কেবল ব্যতিক্রম।
ঠান্ডার কাপাকাপিতে তুষারের স্কটল্যান্ড
মনে হত সব তার।
গাজাখোর মদখোরের সার্বিক শৈব ভুমিকায়
পাতালপুরীতে তার অবস্থান।
লোকে বলিতো এ দিয়ে কি আর হবে
বাইর ঘরের বাইর দরজায় পরে থাকা
ছেড়া জুতার মত যার দাম
সে মায়ের সংসারে যথেষ্ট অচ্ছুতই বটে।
মা বলিতেন এমন উদাসিন সন্তান থাকিলে ঘরে
মা জন্ম যে বিফল গেল
প্রাণ হীণ কাঠের পুতুল লয়ে কোলে।
সঞ্চয় হয়েছিল যত মধুর ভান্ডার
সংসারের ছাকে
তাহার মত পোকায় তা
থাকবে না
বিনষ্ট হবে সব
নিদারুন শোকে।
লোকে বলে এ আর কী
নতুন খবর্
সংসারের বাড়ন্ত শিম গাছে
সে ই আনিবে কবর।


সেই আনিবে অনাবৃষ্টি রবিশস্যের মাঠে
বরফ করিবে খোয়াই পানি
কলসীর জল রাধার কাখেই করিবে ঘোলা
এমন নেশাকোর ছেলে নিয়ে
সংসারে না যায় আর চলা।
না যায় দেখা পুষ্প সকাল
না যায় বলা কোন প্রভাতী গান
সর্ব মন্দিরে লেগে থাকে হায়
লক্ষ্মীর অভিমান।
দেখিলে তারে ঘরের ছালা
ছায়া দিতে যায় ভুলে
গৃহগাভি নেয় তুলে দুধ
আপন ওলান থেকে।
ভুলে যায় কোপের কবুতর
ডাকিতে বাকবাকুম।
চায়ের কেটলিতে মরিচ গুড়ায়্
পানি গরমের পরে যায় ধুম।


এমন ছেলের এমন কথা
শুনে আর কজন?
তারে নিয়ে ভাবিবার নেই
কোন সুজন।
হঠাৎ একদিন শীত আসিল
তার শীতল ব্যবহারে...
গ্রাম জুরে বাতাস হকার
বলিল চিৎকার করে...
ওরে দেখ দেখ দেখ ভাই
নেশা কারে বলে?
মায়ের নামে থানায় গেল
গেল মামলা মোকাদ্দমায়
ওই বাকি সুসন্তান দুজন।
নেশায় নেশায় কাতর ওরে
এই গাজাকোর রতন্
বলিল
ভাগ বাটোয়ারায় যদি
না পাই একরতি
তবু মায়ের নামে মামলা করতে
আমার হবে না মতি।


বৃষ্টি নামিলো আকাশ হতে
বৃষ্টি নামিলো ঘাসে
মাতৃগর্ভ ধন্য হল
সর্ব বিদ্যা পুষে।