আমার আজ লেখা কয়েকটি কবিতা,,


১)


অনেক দিন ধরেই তো এই ঘাটে নাও ভিড়াও না,,,
নাবিক না হতে পারি,
নাওয়ের নিচে জল তো হতে পারব,,
তাও যদি না পারি,,
তোমার তৃষ্ণার্ত তরীতে
সামান্য হাওয়া তো দিতে পারব
ওই পুরুনো দিনের পুরুনো অভিজ্ঞতা হতে।


২)
ভালো আছি,,ঠিক তোমার ভেঙে যাওয়া স্বপনের মত।
ভালো আছি ঠিক তোমার
বুকের ছেড়া ওড়নার মত।
আমি ভালো আছি তোমার
রঙ হীন টিপের মত
আমি ভালো আছি তোমার
দীর্ঘ শ্বাসের মত
ভালোই আছি
কোথাও কোন কান্নার মত।
ভালো আছি ভালোর মতন
যা সদাই খোঁজে মানুষ
ভেবে রতন।


৩)
শুনো,,আমি  একটি মালা
দেখেছিলাম তোমার হাতে।
দেখেছিলাম এক পেয়ালা জল
তোমার ঘরে,,
আমি যে তোমার চুলে কিছু ঘ্রান পেয়েছিলাম,,
আমার মন মাতানোর তরে।
আমি তোমার আখি যুগলে কিছু স্বপ্ন রেখেছিলাম
ঠিক আমার স্বপ্ন হতে,,
আমি তোমার হাতেই কিছু রান্না দেখেছিলাম
আমার মনের রেসিপি থেকে।
কেমন আছে এই সব
মনে হয় বিধাতাও না জানে।


৪)


আমি কেন এমন?
আমি কার জন্যে কি রাখি
তা কেন জানি না।
কেন আমি ফুল চিনি,,
মালি চিনি না।
আমি মধু চিনি ভ্রমরী চিনি না।
আমি সাধনা চিনি,,
সাধক চিনি না
আমি প্রেম চিনি,,প্রেমিকা চিনি না, চিনি না প্রেমিক।


৫)
তারে দেখেছিলাম কোন ঘাটে,,
কপালে সিদুর সূর্য গলিত কুসুমে,,,
ছিড়ে দিয়েছি চুলের খোপা,
ফুলের আক্রমনে।
দেখেছিলাম তারে বাকা হাসিতে শত আঘাত গায়,
কি জানি পরম সুখ,, ব্যথাতেও পাওয়া যায়!


কিন্তু একি,,?
এ যে আনন্দ,,মালার বদলেও পাওয়া যায়!!!
পাওয়া যায় সুখ নামে শোকের গানে?
লোকে যারে সংসার বলে,,,
আশীর্বাদের অনুদানে।
তারে দেখেছি আজ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হৃদয় পাড়ে
পূর্ণ পূর্ণিমা দেহ সনে,,
সে কি চিনেছে আমারে?
নাকি চিনিবার জীবন্ত কথাটাই ভুলে
হাত বাড়াতে হয় মরণ পাবার
সাংসারিক সংবিধানের সংসার অনুদানে?