১)
তোমার নখ পালিশের রঙে আমার জিহবা লেগে আছে,,,
দেখতে কি পাও?
শাড়ির আঁচলে সামান্য ছোঁয়া মিশে আছে,,দেখতে কি চাও।


হয়ত চাও না,,,কিবা
চাইলেও হাতের চুড়িগুলির ভাষার কাছে
তোমার ভাষা ম্রিয়মাণ।


প্রাণ কষ্ট পেও না,,,
বেল পাতা ঘি দিয়ে মিশিয়ে ঢেলেছি যজ্ঞের অনলে,,,
যজ্ঞ না হলেও তা পুড়বে,,,
বেশ ভালো করেই পুড়বে।


২)
ঘুমিয়ে গেললে?
বালিশ কিন্তু আছে জেগে,,
জেগে আছে তোমার গায়ের উপর
জড়িয়ে থাকা চাদর,,,
যে আধার কে ভেবেছ রাত,,,
সেও চোখ মেলে দেখছে তোমাকে!


বোকা ঘড়িটাই কেবল করছে সামান্য আওয়াজ,,
বাকি সব নিস্তব্দে গুনছে সময় তোমাকে দেখে কিবা ছোয়ে,,


আমি যে শিখিয়ে দিয়েছি তাদের,,
কেমন করে বলতে হয় কথা ,, তোমার সাথে,,,
সামান্য আবেগের।


৩)
আজ,,,,কেন জানি খুব রাগ হচ্ছিল
হাড়ি পাতিল ভাঙ্গতে ইচ্ছে হচ্ছিল,,!
না না তা নয়!
তবে কুমার পাড়ায় গিয়ে শিখতে খুব শখ হচ্ছিল,,,
ইস আমিও যদি এমন করে গড়তে পারতাম,,
হাড়ির মতন সাজানো সুখ গুলি,,
তাহলে ছুটির দিনে তোমার সামনে বসেই
কেবল মাটি দিয়ে বানাতে পারতাম।
কতগুলি সুখ,,,নানান রঙের,নানান আকারের সুখ,!


তাহলে কোন দিন নিয়ে যেতাম না তা হাটে,,
মনের বাটে বসে বসে তোমার কাছেই রাখতাম জমা তা,,,
চিরদিনের তরে।
তুমিও কি যেতে কুমার বাড়িতে?


৪)
তোমাকে কাছে পেতে খুব ইচ্ছে করে,,,
এক বুক আশার মতন,,
তোমাকে পাশে বসিয়ে বাতাস করতে ইচ্ছে করে,,,
হাত পাখার হাতলের মতন,,
মনে হয় তোমার চিবুকের উপরে বসি
সামান্য জল বিন্দু হয়ে,,
আবার ভয় হয়,,,,
ঘাম ভেবে যদি মুছে দাও তা,,
তাই শিশির কুয়াশা হয়েই ভেসে বেড়াই
তোমার চারপাশে,,,
ঠিক যতটা দূরে,,ততটাই কাছে থাকার মত।
তোমারই কি ইচ্ছে হয় চোখের পালকের উপর চুল গুলির মত করে রাখতে আমাকে,,,
নজরের পাশে থেকেও দৃষ্টির বাইরে?


৫)


ঘুম আসছে চোখে?
রাজ্যের  ধুলি আকাশে উড়ার মত
অন্ধকার কি নেমেছে নজরে?
নাকি নিজ থেকেই নিতে চাচ্ছ বিদায়
আলো হতে,,,
অন্ধকারে আর যাই হোক,
আপনাকে যে যায় দেখা
ইচ্ছে মতে তাতে।