একটা টুকরো শুভ্র চাঁদ যদি এত এত
আনন্দ নিয়ে আসতে পারে অবলীলায়।
তাহলে এত গুলি রক্ত পূর্ণ চাঁদ যার ঘরে,,,
তার ঘরে ক্ষুধাহীনতার আনন্দ নেই কেন?
আনন্দ আরে আনন্দ,,
তুমি হ্যা হ্যা তুমি কেন,,ব্যাগ ভরে চলে যাও
রাস্তা দিয়ে ,, মহিষের পালের মত
ওই প্রাসাদে,,ওই অট্টালিকায় মন্ত্রির বাস সভায়,,
সুখীর বিলাসী ঠিকানায়,,
কেন আনন্দ,,?  কেন এমন তুমি?


এই যে কান্না ভর্তি ভাঙ্গা ঘর দেখতে পাচ্ছ,,
যার উনুন হীন রান্নাঘরের ভিটায়
দু দুটি শিশু শিকলে আবদ্ধ
কেবল পেটের ছোট্ট রাক্ষসের দায়ে।
না না সেথায় পোলাও কোর্মার মত
এত আনন্দ দরকার নেই,,।
সেথায় জিলাপী,মোহন ভোগ,খেজুর,,
জমজমের পানির মত এত স্বপ্ন দরকার নেই।
সেথায়,,,হাড়িতে,, ওই শুন্য উদর হাড়িতে
যদি এক মুটি খুদের ভাতও জুটে
মাটি মাখা,,ছাই মাখা,,হয়ে।
কিবা ঘরের ভেতর যে খর মেলানো বিছানা দেখছ
সেথাই কেউ আদর করে যদি
লেপ, তোষক লিখে রাখে,সামান্য ছায়া দিয়ে
তাহলেই হবে আনন্দ,, তাহলেই হবে।
বিশ্বাস করো তাহলেই
আনন্দ সত্যিকারের আনন্দ তুমি হবে তোমার কাছে।
তখন তোমার চেয়ে পবিত্র আলো আর কে হবে
এই ঝাকঝমক পূর্ণ বাতির দুনিয়ায়?
তোমার চেয়ে অমৃত আর কে হবে
চারদিকের বড় বড় রেস্তোরাঁয়
হাড়ি পাতিলের উল্লাসের পরিসীমায়।
ওই যে যারা ফেসবুক ইউটিউবে খাদ্যের ছবি দিয়ে
নিজের আভিজাত্য করে প্রকাশ,,নানান ছুতায়
তাদের খাদ্যের উপর তখন গোবর করবে বসবাস
মাছিও ঘৃণা করে এড়িয়ে যাবে তাদের,,।
ওই যে নেতা,, নির্বাচনের আগে যে
ভিগ মাগে দুয়ারে দুয়ারে
সেও হবে চরম ভিখারী,,,আনন্দহীন এই সংসারে।


কারন তুমি যে পেটের ক্ষুধার দায়ে
পায়ে শিকলাবদ্ধ দুটি শিশুর মুখে অন্নদাতা হবে,,
তাদের নাকের উপর দিয়ে।
কাপড় হীন,, মায়া হীন আরো
কয়েক শিশুর জন্য কেবল মহামায়া হবে
তাদের চোখের উপর দিয়ে।।
তুমি যে এক অসহায় নারীর সম্মুখে ঈশ্বর হবে!!
মাটির ঈশ্বর মাটির দুয়ারে
আমাদের কলমের উপর দিয়ে।।


পারবে কি আনন্দ,,এই কাজটি
আজ অন্তত করে নিতে?
পারবে তো?