আর কত লুকিয়ে তম কৃষ্ণ দেখার মত
তোকে দেখব,,অন্তর বৃন্দাবন।
চারদিকের গাছে গাছে এত ফুলের রেনু
বাতাসের মাঝে এত ধুলো বালি,,,
বাড়ির ফুল গাঁছটার আশে পাশে
এত এত সানাই রঙের প্রজাপতি,,,
এই সব এড়িয়ে তোকে আড়ালে দেখা
এত সহজ নয়,,!
জানিস এইখানে আমার বাড়ির পাশেই
একটা জীবন্ত প্রাণ পুকুর আছে,,,
একেবারে কচুরীফানায় ভর্তি,,,।
আচ্ছা বলতো সেই পুকুরের জলে কি
মাছ বাস করতে পারে?
সূর্যের আলো নাইবা পৌছল জলে,,,
বাতাসের দোলায় কম্পিত নাইবা হলো জল,,
তবু ওরা কি প্রাণ ধরে রাখতে পারে দেহে?


কি জানি হয়ত পারে,,
আমার হাতের জল খেয়েই তো
এই বাড়ির গাভীটির এক এক করে
অনেক গুলি বাচ্চার জন্ম হল,,,
আমার হাতের আদর পেয়ে,,,
এই বাড়ির উঠোন কোনে নাড়িকেল গাছের দেহটা
এই এই করে ছুইলো আকাশ।
এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আকাশ ছুয়ার আনন্দ
যন্ত্রণা,কষ্ট  তুই কখনো বুঝবি না বৃন্দাবন।
কখনো বুঝবি না।
খোয়ারে বাইর থেকে
ঘাস কেটে এনে ফেলে দিলেই মানবতা
বৃদ্ধি করা যায়,,
কিন্তু খোয়ার ভাঙ্গা যায় না!


বৃন্দাবন,,, প্রেম ভালবাসা সবখানেই আছে,,,
ওই যে কসাই,,
ওই যে জল্লাদ,,
ওই যে সন্ত্রাসী,,,
ওই যে চাপাতিবাজ,,,
তার হাতেও প্রেম আছে,,,
জাহাজ বুঝাই জল আছে জলের উপরেই,,
কিন্তু কে কোন জল পানে তৃপ্তি
কোন সময় পায়,,
তা কেউ জানে না,,
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্ন সাধ,,
জাগ্রত আখিও যে চায় না,,,


তাহলে বৃন্দাবন আড়ালে আড়ালে
তোকে দেখা কেন,?
ঘরে উনুনের কাঠ জোগাড় করার নামে
তোকে দেখা কেন?
কেন আমি পুকুর পাড়ে সূর্য উদয় দেখার নামে তোকেই দেখি,,,
হাসগুলির নিচে হাত দিয়ে ডিম
খুজার মিশনে তোকেই ভাবি,,,
বল বৃন্দাবল বল৷  
তুই আমার কে,,,কে,,কে?


আমার হাতে এখনো
ডানা হীন বকের রঙের মত শাখা আছে,,,
আমার কপালে মানচিত্রের পতাকার মত,,
লাল টুকটুকে সিঁদূর আছে,,,
তাহলে কে তুই,,
যে আমাকে আমার ভিতরেই চেনাচ্ছে প্রতিনিয়িত,,
স্বপনের সাথে জীবিনের করে দিচ্ছে বড় ব্যবধান।
মালার চুক্তি পত্রের শপথের আশে পাশেই বাড়াচ্ছে শুধু শ্মশান আর শ্মশান,,,
যে শ্মশানের সুরে ভাবছি
আমি কি চরিত্রহীনা এক পুষ্প?
আমি কি কলঙ্কিনী এক নদী,,,?
নাকি আমি নিজের বিষে নিজেই
বিষাক্ত এক নন্দিনী।