আর কত গরল পুষ্প সম কাটার পথ হেটে হেটে
সমুদ্র অতল সম দূরে গেলে,,
তোমার অনিয়ন্ত্রিত প্রেমের
নিমন্ত্রিত দেখা পাব স্বতনু,,,?
আসছি আসছি বলে,, এই তো
চার পাঁচটা গর্ভ মহাকাল চলে গেল,,,।
পাথর দেয়ালিকায় লেখা নাম গুলিও
সহজেই গেল অদৃশ্যে ভেস্তে,,,
তবু তুমি এলে না,,,আসবেও কি না?


বলেছিলে আমি যেন আঁকাবাকা রাস্তা দিয়ে
কাঁদা পায়েই বের হই,,,খুজতে তোমায়!
আমি তাই করেছি,,,আমি বের হয়েছি স্বতনু,,
আমি বার বার বের হয়েছি,,,
সর্পিল রাস্তার বুকেই রেখেছি বিড়াল পা,,,
স্বাধীন বিষের পরাধীন গন্তব্যেই যাচ্ছি হেটে।
রাস্তার পাশে এই বড় একটা গাছও পেয়েছিলাম,,,
বিশ্বাস করো,,আমি সেথায় লোমের ছায়া
নিতেও যাই নি,,,
একটা বিছানা পদ্ম বিল পাশ দিয়েই দাঁড়িয়ে ছিল,,,
আমি অবজ্ঞার নজরে ভুলে গেছি শত অলজ্জতি পদ্ম,,,
কারন শুকনো বকুল ফুলের তরতাজা মালাটা যে তোমাকেই পরাতে হবে স্বতনু।
তোমাকেই পরাতে হবে অন্ত সংবিধানে।
এমনি কিছু রক্ত আদেশ জন্ম নিচ্ছে রক্তে,,
জন্মের আজন্ম ইতিহাসে।


এ আমার ইচ্ছের মন্দির কথা নয়,,,স্বতনু!
হাজার রাত্রি ধরে দেখা এক পাপী স্বপনের কথা,,
আমার হৃদপিন্ডের স্বয়ংক্রিয় বদমাসী কথা,,
আমার মনুষ্য জন্মের সূচীপত্রের চরিত্রহীন কথা।


কিন্তু আর কত দূর এক পায়ে গেলে হেটে
দু পায়ের স্বাদ পাবো আশীর্বাদে,,,
তুমি বলেছিলে,,এমন করে ঘর থেকে বের হলেই
অভিশপ্ত বজ্রপাত হবে আকাশে,,
হ্যা হ্যা তাই হচ্ছে,,,
বলেছিল নিমন্ত্রণ ছাড়াই দলে দলে ছুটে আসবে
বেশ্য সাপ শকুনের দল,,,
সারি বেধে উঁকি দিবে
হৃদয় পোশাক পোকা হৃদয়ে হৃদয়ে,,
সদয় হীন হয়ে শুকিয়ে যেতে পারে নদীর চশমা জল,,,
উল্কার মত রূপ নিতে পারে বাতিঘর অক্সিজেন,,,
তুমি বলেছিলে নিন্দার কালিতে
সেজে যেতে পারে অবতার বাতাস বাস্প।
নিদ্রাহীন নিন্দুকের মত হয়ে যেতে পারে স্বয়ং ভগবান!


সত্যি স্বতনু তাই হচ্ছে,,,,
তাই হচ্ছে আমার চারদিকে।
আমি বার বার গায়ের কাপড় ভিজিয়ে রাখছি জলে,,
কিন্তু কীভাবে সে জল হচ্ছে উদাও
আমারই গায়ের নারকী  তাপে।


হ্যা হ্যা এ তাপ আমার,,,,এ তাপ আমার
মনুষ্য জন্মের মূল মন্ত্রে ধরত্রীকেই কৃপা করার।
এ তাপ আমার ,দুঃখের,শোকের
লাম্পট্যের কিবা বেদনার!
যে বেদনায় বেঁচে থাকে ঈশ্বর,,,
বেঁচে থাকে প্রকৃতি
লয়ে শক্তি
সৃষ্টির সকল বীজ মন্ত্র কণার।
###############
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
২৭/০৯/১৮