আজ আর মরণ লজ্জা তোমার জন্য নয়
জননীর সংবিধান মাটি,,
তোমাকে গর্ভ ধারন করতে হবে
সমস্ত স্বত্তার,,,,
তোমাকেই বাঁচিয়ে রাখতে হবে ঈশ্বর!
অথচ দিন শেষে চাবুক লজ্জা তোমারই,,!


না, না, না...
চারদিকে না,না শব্দের ভৈরবী হুঙ্কার আওয়াজে
প্রকম্পিত হচ্ছে
সেই সকল ঘড়ির কাটা রীতি কিবা ধারা,,।
এতদিন যার মুক ভাষা ছিল লুকিয়ে
আপনারই মিথ্যে অলংকার ছায়ায়,,,।
আজ সেই দিচ্ছে ভাষন, কেবল সত্যের মায়ায়।
জেগে উঠেছে আঁধারের নিচে
ঢাকা পড়ে যাওয়া সকল আলোর ছাই ঠিকানা,,
হাতে পরশ লাটি লয়ে বের হয়ে গেছে
শক্তিমান পিপীলিকা হতে সমস্ত গর্ত বিলাসী প্রাণ।
দাঁড়িয়ে গেছে গৃহপালিত ভদ্র পশু প্রচন্ড তেজে
গৃহের জোয়াল, লাটির  হাজত সম্মুখে,,,।
কেড়ে নিয়ে গেছে হাতের মুটিতে রাখা রিমোর্ট কন্ট্রোল
দেয়ালে আটকানো ওই দাস দাসী টিভি।


এতদিন যার সত্য পা ছিল কাটা,,,
সেই আজ স্বর্গের ম্যারাথনের প্রধান।
যার দেয়ালে লিখে রাখা হয়েছিল নানান অশ্লীল বানী
সেই হীরের দেয়ালই লিখছে হৃদয় শ্লীল কাহিনী।
দুয়ারে রেখে দেওয়া হতভাগ্য পাপোশই বলছে
গৃহের অন্দেরের পৌরাণিক প্রাগৈতিহাসিক  ইতিহাস,,,
যে চলমান গৃহকোন পায়নি দেখা কভু
খাদহীন স্বর্ণের মুখোশহীন মানুষ!
সেই মানচিত্র গৃহকোনই
অবহেলা অপরাধের চোখে চোখ রেখে
মিছিলে মিছিলে
দখল করে নিয়েছে সমস্ত গৃহ,,।
ঝেটে বিদায় করে দিয়েছে সেই সব বাহারি রঙ
যে এতদিন ঢেকে রেখে দিয়েছিল জং ভরা ঢং।


এমনি মহাকালের মহাআয়োজনে সময়ে
গর্ভবতীর উদর ছেড়ে
বের হয়ে আসছে নব প্রজন্মের নব নব শিশু।
মুখে তাদের একটাই বানী,,,
হাতে তাদের একটাই কলম
চিত্তে তাদের একটাই আবেদন৷,,,
এতকাল যে দেহ হয়েছে লুন্টিত খাদ্য
মননে,চেতনে কিবা টেবিলের থালায়।
ওই সব শুভ্র বেশি অন্ধকার শকুনের
আনন্দ বিলাসের গাদ্দাফি সীমানায়।
চিরন্তন বেশ্য লজ্জা কেবল
তাদের জন্যই শোভা পায়।


যে বেঁচে আছে প্রাণ লয়ে দেহ হারায়ে
লজ্জা কভু নয় তার ভাণ্ডারে,,,।
সে আজ থেকে নির্লজ্জ সৎ কিবা সতী
সে আজ থেকে ঘুমন্ত জগৎ শিবের পাশে
চির উন্নত জাগ্রত মহামায়া পার্বতী।
সে আজ থেকে ধরার কোনে কোনে
এক খরগ ধারী জীবিত দেব কিবা দেবী।
আত্ম পরিচয় করে লজ্জারেই দিয়েছে
ললাটে লিখে তার,
যে নির্যাতন করে,, যাচ্ছেই করে বাহাদুরের সংসার।
চরিত্রহীন হয়েও নিয়েছে যে সিংহাসন চরিত্রবাণের
মানুষ না হয়েও যে দিচ্ছে সারর্টিফিকেট মানুষের।
ওরে লজ্জা আজ থেকে কেবল তাদের, তাদের, তাদের


নির্যাতিতার মুখের থুথুতে এসেছে এমন সংবাদ
নির্যাতন কারী কখনো নয় আমাদের,
কখনো নয় আমাদের।