মেয়েটি,,, এই মাত্র পুকুরের কুয়াশা ভেজা জল হতে
ভেজা গায়ে উঠে যেই,,ছেলেটির দিকে তাকালো,,
তখন থেকেই বাংলা দিনপঞ্জিকার ফাল্গুন মাস শুরু।
কোথা হতে কেমনে জানি
হাড়ি ভাঙ্গা ভাঙ্গির শব্দ আসছিল বেশ,,,
পাশের মাঠে কে জানি আলু ক্ষেত হতে
এক দমেই তুলে যাচ্ছে আলু আর আলু,,,
আস পাশে গাছ গুলির যে পাতাসকল ছিল নুয়ে,,,
তারা হুট করেই লোহার মত শক্ত দন্ডায়মান,,,
বাতাসের মাঝে বাতাস গায়ে!


কিন্তু কেন,,এ কেন যার সামনে দাঁড়িয়ে
মেয়েটি খুলল তাঁর মাথার কেশ,,,,
অর্ধ্ব উন্মুক্ত করে  দিল বুক বোতামের কয়েটি বোতাম,,
ওমনি বুকের দুধ সাধা চর্ম হতে উঁকি দিল
একমাত্র তিল,,,
যে তিলে তিলে জানা গেল
ঠোট বেয়ে পড়া জল মিশিয়ে দিল সর্বগ সর্বঙ্গে


কিন্তু এই সর্বগ সর্বগে
যার সামনেই গলা বেয়ে ভিজা কেশ
জলের গতিতে নেমে গেল ঠিক নাভিগর্তের পাড়ে,,,
সেই ছেলেটিই কেন হুট করে
লজ্জায় হচ্ছে লাল গোলাপ বার বার,,
লজ্জাবতীর পাতার মত
সরিয়ে নিচ্ছে চোখ,,চোখ হতে,,তাও মাটির দিকে।
কি জানি কেন কেমন কেমন করা দৃষ্টি
কিসের সরমে যাচ্ছে সরে,নজরের সমর হতে,,,!
বার বার চোখের ভ্রুতে বসে যাচ্ছে বরফের দেশ
চিবুক ধরে ভেসে উঠছে এক অব্যক্ত ভাষা,,,
বলছে বেশ লজ্জার স্বরে,,
পায়িবার কি সকল ইচ্ছে সঙ্গ
রাখিতে হয় চায়িবার জ্বলন্ত যজ্ঞে?


উত্তরহীন, ওরে সব কিছুই উত্তর হীন
মাটি উত্তর হীন,,জল উত্তর হীন
জলেতে মাটি মিশিলে মাটি হয় কাদা
মাটিতে জল মিশিলে,,জল হয় সুধা
জল হয় প্রাণের জন্য সুধা
সৃষ্টির জন্য সুধা,,,
এই সুধায় সুধায় আপিন নাভি পাশে
খোঁজে কস্তুরীর কস্তুরী
মুচকি হাসিতে শুধু বলছে কথা ছেলেটি
লজ্জার বাতাসে অব্যক্ত ভাষায়,,,
এখনো ভেজা অঙ্গের ভেজা মেয়েটির সাথে,,,
নানানা অদৃশ্য মোবাইল ইশারায়।