ইস এই দেখ দেখ,,,,মেঘের বুক ছিড়ে আকাশে
এত্ত বড় একটা উপবাসী চাঁদ উঠেছে,,,,
দাও নাগো লিখে একখান কবিতা।
প্রেমের কবিতা,জ্যোৎস্নার কবিতা,,,
শিহিরণের কবিতা
মন ভরে পড়ব,,,,প্রাণভরে পড়ব
সাগরে জল ভরে পড়ব,,,


ওমনি কবি কলম নিলেন হাতে,,,
বন্ধ করলেন চোখ,,,
দেখলেন,,, চাঁদের গায়ে কালো কালো গর্তে
কেবলি মায়ামৃগ আর বিষাক্ত সাপ।
কবির কলম লিখলো,, আহা আহা
কী সুন্দর রাত
চাঁদ যেন রূপসী লিওনী দিয়ে
ঢেকে দিয়েছে দুনিয়ার সমস্ত অন্ধকার,,
হেলেনের নগর হতে সকল ভুমি অদ্যকার,,,।
বুকে তার পদ্মফুলের পবিত্র স্বভাব,,
আর স্পর্শেতে পঞ্চ পাণ্ডব জন্মের চিত্রায়ণ বার বার।


এভাবেই কবি চাঁদের প্রশংসায় প্রশংসায়
শেষ করে দিলেন শত শত কোম্পানির কালি,,,।
দিস্তার পর দিস্তায় রেকর্ড  হল গ্রিনেজবুকে
কিন্তু তখনো প্রেমিকার স্তন
কোদাল দিয়ে খাচ্ছে ভণ্ড প্রেমিক,,,
বিয়ের মালাতে ফাস লাগাচ্ছে গর্ভবতী প্রেমিকা।
ঘুমন্ত প্রাণনাথের পাশে শুয়ে শুয়ে
ওয়াটসয়াপ ইমুতে খেলছে প্রাণসখী, যৌনপল্লী।
অফিসে গিয়েই সুপুরুষ স্বামী
দিব্যি ভুলে যাচ্ছে বিবাহের মন্ত্র,,,,
মোবাইল তার সবচেয়ে বিশুদ্ধ বদমাস ভ্রমর।
আর পাড়ার ভাবীর বাসায়
এখনো ব্যাংকওয়ালা আসে আর যায়,,,
তবু জানাই হয় না
ভাবীর গাছের কুমড়োর বয়সটা,,,কত?
দিন যায় রাত যায় কুমড়োর ভেতর
ডালিম দানার দাঁত পাথর হয়,?
তবু সবুজ কুমড়ো রঙ মেখে আরো সবুজ,,,
আরো তেল মাখা সতেজ,,,
বাতাস লাগার আগেই
ঢোল বাজা শুরু হয় যার।


তারপরেও চাঁদ,,
ঠিক পনের দিন লয় ছুটি,,পনের দিন ঝকঝকে,,,
এক পক্ষ বিরহ,, এক পক্ষ অভিসারে।
আর কবি,,,
চাঁদকে নিয়ে ঝাপ দেয়,,,সংগীত প্রহরে।
শুনে ভয়ংকর জোয়ার ভাটার গান,,,
কিন্তু কবির কলম লিখে,,,
এ প্রেম আর প্রেমের অভিমান।


শান্ত হয় শ্রোতা,,,
শান্ত হয় বড্ড সময়হীন নগর নগরী,,,
কোথাও যেন তখন শিশুর মুখের ঘ্রাণ আসে ভেসে
কান্না হীন ঘুমের শব্দে চারদিকে যেন
ঘুম আর ঘুম,,
লাল ঘুম,নীল ঘুম,,ভালো ঘুম, মগ্ন ঘুম,,,
চাঁদ ঘুম,,,!চাঁদ ঘুম।।চাঁদ ঘুম।।।