১)
আমি তো আছি,,
তোমাকে লাভলি ক্রিম মেখে আসতে হবে না,,,
ইন্দ্রদেবের নজরে দেখব তোমায় সারাক্ষণ,,,
পাতাল গর্ভ হতে তুলে আনব লাল পদ্ম,,,
ছড়িয়ে দিব তোমার পায়ে,,,
সবচেয়ে হিংস্র জন্তুর কাছ থেকে শিখে নিব প্রেম,,
শিখে নিব আদর করার ভাষা,,,
অত:পর তোমাতে আমাতেই গজাবে জীবনানন্দ দাশ
আর তার বনলতা সেনের
দু দন্ড শান্তির চাষ।


২)
ধন্য তো হবেই,,,
এমন চোখে কে বল তাকিয়েছে বার বার,,
দুষ্টুমির,নষ্টামিরও যে পবিত্র যুধিষ্ঠির আমি,,
আমি ফুল বাগানে অলি শুধু উড়ে উড়ে,,
পায়ে আমার মানা আছে,,আজন্ম পাপের অভিশাপ আছে,,,
আছে হুলের মাঝে নিষিদ্ধ নোটিশ,,,
তাই পাখাতেই বাসি বাধা,,পাখাতেই রচি সুখ,,
সুন্দরের পুজা সুন্দরতম করিয়া।


৩)
তোমার রাতের দরজার পাশে
ইদুর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকব আজীবন,,,
ভেতরে জন্ম গানের আসর বসবে,,আমি তা কান পেতে শুনব।
বুঝে নিব এই আমার জীবন
এই আমার সাধনা,,
এক জীবনে এতটুকুই থাকুক কামনা।


৪)
গুরুদেব,, প্রণাম
ভাদ্র মাস,বাইরে মার্জার আর মার্জারীরর ডাক।


ভুল শুনছো খোকা,, ওরে বোকা
এ পাকা কাঠালের গরমে অন্দরে
কাঠাল পাকছে একা একা,,।
মার্জার নয় দূরে কোথায়য় কুকুর কুকুরী
কবুল নামায় সই করছে পাকা,,,
তুমিও কিছু ভাবো বোকা।


৫)
তোমার পড়নের পোশাকের পানি
উঠেছে মাথে,,,
ওঝা নিয়ে এসে আপনার বিষ নামাও
আপনার মস্তিস্ক হতে,,।
আর কত তারা নাঙ্গা দেখবে আকাশ জুড়ে
আর কত বেল ফাটা বুক দেখবে
বেল গাছের তলে।


৬)
একটি মেয়ে,,,রোজ ঘুম ভাংগাতে আসে
যখন আমি চৈতন্য হারিয়ে মায়া দেবীর কোলে,,,
মেয়েটি মুখে পান রাখে,,,চিবিয়ে চিবিয়ে খায়
আর দেখায় আমাকে,,
ব্লাউজের ভেতর লুকিয়ে রাখে সে সাপ
অত:পর চুমু খায় সাপের মাথে,,,।
মেয়েটি খুবই সরলা,,বাকা নয়নের অবলা।
তাই হোচট খেয়েই পড়ে শুকনো মাটিতে,,,
অত:পর,,
হাটুর উপর কাপড় তুলে লজ্জায় ডাকে আমাকে,,
বলে হাসপাতালে নেবার দরকার নেই বাবু
একটা কচি ডাব ছুঁয়ে  দাও আমাকে,,
আমি তার জলেই স্নান করব,,,
সারাটি জীবন ধরে,,
পূন্য স্নানের নামে।


হায় মায়ারদেবী, হায় প্রিয়ে।


৭)
সে কবেই বিদায় নিয়েছে মন থেকে,,,
বলে গেছে এ জীবনে আর দেখা হবে না,,
যেদিন পুতুল খেলা ভুলে গেছি
সেদিনই ভুলে গেছি তারে,,,
যেদিন গোল্লাছুট নিয়েছে ছুটি,,
সেদিন ঘুমও জানাইয়েছে বিদায়,,,
এ জীবনে আর সাতার কাটা হবে না ভর দুপুরে,,,
ঘুমও কভু আসবে না আর ফিরে এই নীড়ে,,,।
আসবে না ঘুম, আসবে না আর
মাতাল এ দেহে,,,
ভাইরাসের মত সমাজ যে আমায় নিয়েছে আপন করে,,,।


৮)
কথা হচ্ছে আমার তার সাথে
যে চলে গেছে ধরার দেয়াল পেরিয়ে।
চলে গেছে চোখের অলক্ষ্যে
স্মৃতির প্রাসদে,,
তার সাথেই কথা বলছি দুর্নিবার।


জানাচ্ছে সে আমায়
এখন সে আছে বেশ।
মায়া নামের চাকুতে বলি হয় না আর,,,
সুখ নামের ক্যান্সারে মারা যায় না বার বার।
এখন তার চোখের কোনে জল গুলি অপরাজিতা,,,
বুকের কম্পন স্বাধীনচেতা।
এখন সে জলে স্থলে অনলে
এখন সে এখানে সেখানে যেকোন খানে,,
এখন সে অনুমতি নেয় না
সেই  দরজাটি ভাঙ্গতে।
এখন সে ইচ্ছেমতই চুমুক দেয়
সাজানো সকল সুরার পেয়ালেতে।