১)


কতদিন ক্লাসে বসেই ভেবেছি,,
কেউ বাংলা বইটা নিয়ে এসে বলবে,,,,
হৈমন্তিটা বুঝিয়ে দাও,,কিবা পড়ে শুনাও,,,
খুব ইচ্ছে ছিল রবি বাবুর কলমের অপু না হলেও
হৈমন্তি পড়ে শুনানোর কাউকে,,,
জীবনের শ্বাসে শ্বাসে বুঝে নিতে
আমি শুধু হৈম কিবা শিশির নয়
আরো হাজার নামে ডাকতে পারি,,হৈমন্তিকে।
আদর করে বলতে পারি প্রজাপতি,শাপলা,পদ্ম,নানান কি!!
খুব ইচ্ছে ছিল,,হৈমন্তিকে রোজ বিকালে কাশ বনে নিয়ে যাব,,
গোপি কাকার দোকানের লাল ফুচকা খাওয়াব আমার জিহবায়,,
প্রতি রবিবারে সিনেমাহলের কোনার আসনটা নিয়ে নেব বরাদ্ধ,,
সারা দিন টুই টুই করে ঘুরে ফিরে
সন্ধ্যে বেলা বসব সেই গাছটির নিচে,
যে গাছটি একা একা দাঁড়িয়ে আছে গ্রাম থেকে সেই দূরে,,
যেখানে বসলে পাতার শব্দ ছাড়া,বাতাসের কীর্তন ছাড়া,,
জনপদের কোন চিহ্ন নেই,,,


নেই কিছুই সংস্কার,নিয়ম,মন্ত্র,
নানাবিধ বাধার দেয়াল,,,
হা হা এখনো খুব ইচ্ছে আছে,
যদি এমন ভাগ্য কভু আসে,,,
তাহলে একসাথে ঝাপ দেব জলে,,
জলের নিচে যাব বেড়াতে,
মাছেদের রাজ্য দেখব ডুবে ডুবে,,
উপর থেকে কেউ জানবেই না,,
আমি আর হৈমন্তি,,
আছি এমনি সলিল আভরণে।


২)
যার সাথে কলেজের ব্রেঞ্চ গুলি শেয়ার করলাম,,
পাল্লা দিয়ে পড়লাম বই,দিলাম এক সাথেই সকল পরীক্ষা।
কোন পরীক্ষায়ই পিছিয়ে যাই নি তার থেকে,,
অথচ আজ তার বাড়িতে সানাই বাজে তার নামে,,
আর আমি সেই সানাই শুনার
নেমন্ত্রন্য অতিথি,,,,।


হায় তিথি,,, হায় ভাগ্যরেখা
মামলায় তুলবো তোমায়,,
জেনে রেখো এটাই আমার এখন
মনের প্রস্তুতি।


৩)
কোথায় জানি শান্ত জলের তলে অশান্ত মাছের বিচরণ দেখলাম,,
মনে হল দেহ যত শীতলই হোক
বেঁচে থাকলে রক্ত গরম,গরম এবং গরম,,
পড়ে থাকা কলম লিখে না বলেই যে লিখবে না কাল,,
তার নিশ্চিয়তা সাদা পাতা কভু দিবে না,,
যেমনি শান্ত আগ্নেয়গিরি কভু,,অশান্তির বার্তা এড়ায়ে যাবে না...


৪)
আমি জেনে গেছি,,
আমি জেনে গেছি কবে থেকে এখানে
আর ফুটবে না ফুল বসন্ত কালে।
আমি জেনে গেছি কবে থেকে চিল
নেমে আসবে না আর প্রজনন বিকাশে।
এখানে কোন আর রামায়ণ হবে না লেখা,,
পার্বতীর পাশে বসে করবে না সাধনা শিবে।
এখানে আর কভু নীল খামে লিখবে না চিঠি,,
বসবে না ব্রাহ্মণ দেবীর সম্মুখে পুষ্প হাতে,,,


যখন  এখানে কারণ খাবে কারনরে।


৫)
হারিয়ে ফেলেছি আপন পরের আলিঙ্গনে,,
কোথায় জানি চলে গেল প্রাণ
এ দেহ ছেড়ে,,,,
কেন গেল কোথায় গেল,মৃত্যুরও জানা নেই,,,
জীবিত থেকেও মরনের কাছে এভাবে
আসতে হবেই?