১)
স্নান শেষে ঘটি হাতে,,
কেন শুভ্র বসনে যাও হেলে দুলে,,,
বার বার অতিক্রম করে!!
তুলসী তলায় আমার চোখ বেঁধে রেখেছি
ওগো সন্ন্যাসিনী প্রিয়ে
রেখেছি আমার জীবন শ্বাস বাতাসে মিশিয়ে,,
নাসিকারন্ধ্রে না পাই স্থান,,
ঘর্মাক্ত দেহ দিও একটু ছুঁতে
দিও তোমার ভেজা চুলের অগ্রভাগে,,
নিতে একটু স্থান,,
পথের মাটি হয়ে তোমায় ছোঁয়ে
জুড়াইতে চাই এই প্রাণ


২)
ঘুমিয়ে আছ,,,?
পাশের বালিশটিও কী ঘুমে?
আর তোমার সিথির সিঁদুর চিহ্ন,,


যে চিঠিটা লিখে পাঠিয়েছ দূর ঠিকানায়,,
সেও কি ঘুমে?
নাকি ডাকহরকার হাতের ছোঁয়া নিয়েই
যাচ্ছে তার
ক্ষতিপুরণের দিন,,
ঠিক যেভাবে  স্বপ্ন ঘরে
কষে হিসাব নিচ্ছে তোমার চোখ।


৩)
রাগ করে বালিশেই হয়ত রেখেছ মাথা
কিবা ছেপে ধরেছ বুকে,,,
জানালার গ্লাস গুলিই করেছ বার বার বন্ধ
ঝড়ের মত নিয়েছ শ্বাস বুকে,,
ভেবেছ এই বুঝি বিদায় নিচ্ছে কিছু
যাকে করো ঘৃণা শত্রুর মত,,
দাও ভালবাসা বন্ধুর মত।
বিদায় নিচ্ছে সে, নিচ্ছে সুচাতুরে,,


হা হা,,ভেবো না,ভেবো না এমন লক্ষ্মী প্রিয়ে
ভেবো না বসে বায়ু সাগরে,,
আমি যে ভালবাসা হয়ে পবন হয়েছি তোমার আলয়ে।
কেশের পাশে কেশ হয়েছি শুন্যের ব্যবধানের মত
আমি তোমার ঘরের বাতির ভেতর বাতি হয়েছি
তোমায় ভালবাসি যত,,
ততটাই হয়েছি আধার তোমায় ভাবি যত।


৪)
ভোর,,তোমার পাশে যে দুনিয়াটা
দাঁড়ায় এসে সময়ে সময়ে,,
তুমি তাকে চেন?
ঘড়ির কাটার ভ্রমন শেষে
যখন ফিরে যায় তোমার কাছে,,,
ইস কত কাজই না করতে গয় তোমায়,,,
চিনতে পারো,,পারো চিনতে এই
ময়লার স্তুপ দুনিয়াটাকে,,?


একটা স্বচ্চ ভোর রূপ দিতে,,
কত ঘষামাজা করতে হয় তোমায়,,,
কত?
ইশ ভাবতেই গা উঠছে শির শির করে,,,


৫)
ভুলে যাওয়া এক রোগ,,যা সুখের মত
শপথের হাত ধরে যেভাবে এসে যায় অলক্ষ্যে দুয়ারে।
ভুলে যাওয়া হাতের চুড়ির মত
ঝুলে থাকে হাতে,,,ভুলে ভুলে।
ভুলে যাওয়া গরমের শীতের আনন্দের মত,,সদাই খোঁজে যায় গরমের তীব্রতাকে,,,ভুলে যাওয়ার নিশ্চুপ আনন্দে।


৬)


নতুন বছরের চাকায় বসে তুমি
তোমার আলয় নিয়ে যাও সমুদ্রের পরে,,,
ভাসতে ভাসতে হেলে দুলে ডুবেই যাও অতলে,,
চলে যাও তাদের কাছে যারা বাস করে
এই পৃথিবীতেই,
তবে মনুষ্য দালান জঙ্গল হতে অনেক দূরে,,
এমন অমৃত সাগরে নিমজ্জিত হও
আজই এই শুভ দিনে,,,
মানুষ হতে দূরে,,,তবে মানুষের সর্ব চিরন্তন কল্যাণে।


জাগিয়ে তুলো তোমার চোখ ওই লেগে থাকা
ঘরের বাসন কোসন হতে,,,
নেমে পড় তোমার আচঁলের মত,,
যত ছায়া মায়া রেখেছ সেথায় লুকিয়ে,,
নেমে পড় পুরুষ তোমার স্বপ্নের মত,,,
যত আগুন খেতে চাও,,
খেয়ে খেয়ে যত ধরতে চাও লাভাকে
ততই নিম্মজিত হও সেথায় অমৃত সায়রে।


৭)
আর যেন চোখের জল দেখতে না আসে
পাড় ভাঙ্গা পাষাণী বন্যার জল,,,
আর যেন কৃষকের হাড়িতে বাসা না বাধে পলিমাটি,,
বিধাতার শামুকের অত্যাচারে
পালিয়ে না লুকায় ঘর ভর্তি স্বপ্ন,,,
আর যেন উদাও হয়ে না যায়,,
মাটির উপর শুয়ে থাকা মাটিতে শপথ,,
আর যেন বুকের ভেতর
নিস্তেজ হুকার সতেজ শব্দে বাড়ে না কেবল
মরণের পথ,,
আর যেন কোন কৃষক বন্যার গুন্ডামিতে
প্রকৃতির সন্ত্রাসীতে না হয় সর্বহারা,,
আর যেন অশুভ না চলে
কপাল নিয়ে কপালের লীলা খেলা।