১)


ভালো থেকো তোমার মনের কোনে শুয়ে থাকা বারান্দা নিয়ে,,
সেথায় যে নারায়ণ পূজো দিচ্ছ প্রতিদিন লক্ষ্মী সেজে,,,
সে পুজোর প্রসাদ অমৃত হোক তোমার জন্যে,,,
স্বর্গ কল্পনায় বিভোর সেথায় একটি গোলাপের চাষ হোক প্রতিনিয়ত,,,
যে গোলাপের লাল রঙে ফূটে উঠবে,, তোমার মন,,,
আর আমার দূর বন হতে সুবাসিত হওয়া প্রার্থনা।


২)
সকাল হলো,,ভাবছি বিছানাটা ছেড়ে দিব।
কিন্তু বিছানা বলল,,,এই না হলে পুরুষ জাতি,,,
আধারে আশ্রয় নাও নরম শান্ত প্রশ্রয়ে
আর সামান্য আলো দেখলেই,
সাগরের ঢেউ হয়ে ছাড়তে চাও সাগরে,,,
শুনো যাও যাও কৃষ্ণ মন নিয়ে,,
সেদিন বেশি দূরে নয়,,,ওহে পুরুষ
যেদিন ফিরতে হবে শান্ত হয়ে,,শান্তির জন্য।
এই রাধিকা শয্যার আলিঙ্গনে।


৩)
আজ সকালে এই লিখেছি,,
তোমার বাড়ির জানালাটা
বেশ স্বপ্নে দেখেছি,,,
যে জানালার পাশ দিয়ে
চলে গেছে আমার বাড়ির মহাসড়ক,,,
সেই সড়কের দু পাশে গন্ধর্ব ফলের বীজ বুনেছি,,
আজ না হয় কাল,,সেই ফলের হাওয়া যাবেই তোমার ঘরে,,সেদিন বলিও আমি কেমন মেয়ে।
এখন আছি চাতকের মত,,,
পথের পানেই কেবল চেয়ে।


৪)


ব্যবধান রচিয়া দিলেন ঈশ্বর এপারে আর ওপারে,,,
এই ব্যবধানেই অভ্যস্ত মানুষ জীবনের বুনিয়াদ গড়ে,,,
আঁধারের শামুক নিশ্বাস নেয় আলোর আশায়
আলোর জল বিশ্বাস রাখে আঁধারের নেশায়,,
এ ঘরের সন্ধ্যা,,ও ঘরে দিবসের পায় ঢেউ
সে বাড়ির সকাল বিশ্বাস করে না কেউ,,
কেউ যায় মধুবনে গাহিতে গাহিতে,,
সে বাড়ির বালু মিয়া খেজুর খায় হাপাইতে হাপাইতে।
নদীর জল কোথায়ও বাড়ে জোয়ারের বেগে,,
কোথাও আবার জলের জন্য মাটি যায় কেঁদে,,
কারো বাতাস বাতাস নয় যেন বন্দি শালা
কারো শ্বাস বাতাস খোঁজে,,
বলে একটু বাতাস দেনারে শ্যালা,,,,
এই হল আমাদের পৃথিবী
দু জমানার দুই বর্ণওয়ালা।


৫)


এখনো কি হারাধন কাকার পুকুর হতে
কৈ মাছ গুলি উজানে ওঠে ?
কাকীমাদের পেয়ারা গাছটায় পেয়ারা ধরে কি?
বিলের মাঝে জাল পেতে মাছ ধরে কি
কোন সুবোধ বালক,,,
সেই নিমতলায় প্রতি সন্ধ্যায় হয় কি সন্ধ্যা আরতি?
চন্ডি মাসীর গায়ে চন্ডি এসে করে কী আর ভর?
সরিষা বাগানে আর খেলে কি কেউ লুকোচুরি,,
আলু খেতের বুক থেকে কেইবা তুলে শাক,,,,
বেগুন ফুলের বেগুনি রঙ দেখে
সাজে কিনা গৃহবধু!
কুয়াশা গায়ে রোদ কি পোহায়
গাছের নানান বয়সী গাঁদাফুল!
উঠান ভরে আলপনা আঁকে কি কোন মেয়ে,,,
শিম গাছের নিচে বসে
রোদের পিঠে ভাত খায় কি কোন ছেলে?
টাকি মাছের লেজ ধরতে কাদা মেখে
যায় কি বন্য হয়ে সেই দুরন্ত ছেলে।
সারাদিন রোদের মাঝে ধান কাটে কি বালকের দল?
বন্যার জলে ভেলা নিয়ে কেউ বা যায় ভেসে?
নতুন জলের নতুন সাধে কে বা ধরা টানে?
কেউ ডুব সাঁতার খেলে হাওর জলে?
ঘুড়ি সুতায় পাঠায় কি চিঠি সেই কিশোর,,,
ফেনা ফুলে সাজে কী কিশোরী?
বুড়ির সুতা ধরা হয় কি আর মাঠে মাঠে,,
ঘাস ফড়িং ধরে কেই বা খাওয়ায় শালিকে?
কে যায় রাখাল হয়ে গরু লয়ে মাঠে?
পঁচা পাটের গন্ধে ব্যাকুল কে হয় গ্রাম্য পথে?
শাপলার মালা গলে দিয়ে বর কে সাজে?
বড়শী দিয়ে মাছ ধরার স্বপ্ন কে ই বা দেখে?


পাড়া হতে ওপাড়া সাঁতার দেবার দিন,,
আমাকে কি দিবে আবার
শুধিতে সকল বাল্য বেলার ঋণ?
আমি আবার লাটিম নিয়ে ঘুরব পথে পথে,,
হাওয়াই মিঠাই খাব দুরন্তপনা সাথে,,
লম্বা ঘাসের লম্বা বুকে,, যাবই লুকিয়ে,,
বাবুই বাসায় ডিম পাড়ব
মনের ঝড় লয়ে।
চড়ুই পাখির সাথে যাব,,ওই তেপান্তরে।
স্মৃতির খাবার যে আনতে হবে
মনের সেই দিনের আমন্ত্রনে।