১)
আমাকে একটু নীল রঙের মদ
দিতে পারবে নীলাঞ্জনা,,,
পারবে তোমার চুল ছেড়ে দিয়ে
সকল জলের স্তর কে ভাসিয়ে দিতে বাতাসে,,,
কবিতার সেই কাব্য পাতায়
গানের আসর স্তলে হাটতে হাটতে,,,
তুমিও আজ ঘরের ছাদ ছুয়েছ
মানুষের মতই,,,,


হয়ত তুমি আজ নয় সন্তানের জননী,,
আটারো মানবের দিদিমা,,,
আগত মানবদের এক পরিচয়।
নীলাঞ্জনা তোমাকেই বলছি
তারপরেও কি পারবে
টেলিফোনের ভেতরে কেবলি
তোমার কথা না ঢুকিয়ে
দুনিয়ার সবার কথাই বসাতে,,
পারবে কি তোমার উঠানে স্থান দিতে আমাকে, তাকে,উনাকে
যারা তোমাকেই খুজেছিল
শান্তি,আর প্রশান্তি ভেবে।


এত কাল বয়ে গেল নৌকা দিয়ে
চোখের জলের সাথে,,
দেখ,,তারপরেও আজ জিজ্ঞাসা করছি
পারবে কি নীলাঞ্জনা,পারবে কী?
নাকি আমিও কবি হতে হতে
আমাকেও লিখতে হবে
তোমার মতই পাতা ভর্তি শুধু কবিতা,, শুধু কবিতা


আর তুমি ধুম করে যাবেই
ওই পুরুষের সাথে
ওই পুরুষের সাথে।


২)
আমি জেগে থাকি হাতের পাশে পড়ে থাকা,শাড়ি পড়া বইটাকে ভালবেসে।
আমি জেগে থাকি ঘরের দেয়ালের ভেতর মুক্ত পায়ে হাটা টিকটিকি টাকে ভালবেসস।
আমি জেগে থাকি বাতির নিচের ছায়াটার সাথে যুদ্ধটাকে
ভালবেসে
আমি জেগে আছি
আমার সাথে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অপেক্ষাটাকে ভালবেসে?
তুমিও কি তাই?


৩)


###########


পাশে বসে একটা ছেলে
বইয়ের পাতায় মিশে গিয়ে কি জানি খুজছে,,
শিখছে,,সুর করে শিখছে
জলে না নেমেই সাতার শিখছে,,
অক্ষরে,জ্ঞানে,গুনে,,,
সমাজ,সভ্যতা,আইন, রীতি ঐতিহ্য এর সংজ্ঞা।
দারুন দারুন শব্দ বোমের দারুন দারুন
চটকদার সংজ্ঞা।
অথচ তার পাশেই আমি সমাজ হয়ে
বসে আছি সেই আদিকাল হতে,,
সভ্যতা হয়ে মরে যাচ্ছি সেই জন্ম কাল হতে,,
প্রথা হয়ে উড়ে যাচ্ছি,, যাচ্ছি উড়ে,,শুন্যে মহাশুন্যে,
কই  ছেলেটিত আমাকে চিনতে পারে নি,,  
তাহলে ওর চটকদার সংজ্ঞায় কি আমি নেই,?
তাহলে ওর বইয়ের সব সংজ্ঞা জ্ঞান কি
আমার জন্য নয়?
নাকি আমিই এসবের জন্য নয়?


৪)
তোমার কপালে আজ সিঁদুর তুলার প্রতিযোগিতা
চেনা জানা গ্রামের অচেনা কন্যা,,হবার প্রতিযোগিতা।
পাশের গ্রামেই গোলামদের উঠানে
মূলা চাষের চরম ধুম,,,
মাটি ভেদি মূলা,,,
এ মুলা যতই মাটির গভীরে যায়,,
মাটিকে আপন ভেবে।
যতই গায়ে মাখিয়ে নেয়
ছোটলোকের মাটি,,
ঠিক ততই তার গায়ের চর্ম হয়
ঠিক তোমার বইয়ের পাতার মত সাদা,
নতুবা তোমার সিদুরের মত লাল,,
ঠকঠকে লাল।


তোমার উন্নত কপালের উন্নত সিদূর
কীভাবে যানে এ মাটি?
তোমার পুস্তক কেমনে জানে
এ কবর বিলাসী নিয়ম?
নাকি নিয়মটাই জেনে নিয়েছে
তোমাকে আর তোমাদেরকে?


৫)
আমাকে জাগ্রত করো হ্যা শীত,,
বরফের বুকে একে দাও,,, তোমার শিশির,,
আমার মাটির মুখে,কাঠের মুখে
ঢেলে দাও এক কলস খেজুরের রস,,
আমাকে প্রানবন্ত করো সমস্ত প্রস্তর যুগের অত্যাধুনিক রুপ হতে,,
সেথায় জাগিয়ে দাও গাঁদা ফুলের অনন্ত পাপড়ি।
হ্যা শীত,,
আমাকে শুদ্ধ কাতরাতায় তৈরি করে দাও
আগত বসন্তের দুয়ারে,,,
কুমড়ো ফুলের হলুদ লুটার নিমন্ত্রণ যে আসছে
প্রাণে প্রাণে,,,
তোমার ধনিয়াপাতার গন্ধে আপ্লুত মাঠ
মাছের গন্ধটা সত্যিযে সরাতে জানে,,
তোমার সজ্জিত বাগানের
কচি মুলো পাতার সুবাস টা
একটু না হয় ধারই দিও
আমার বন ঘাসের এলোমেলো আতরে।


৬)


জীবন,,মানে বনের মাঝে আপন খোজার  
বার বার পরাজিত হবার বিলাসী যুদ্ধ।
জীবন ঘুম থেকে উঠেই,,ঘুমানোর প্রতিযোগিতা।
জীবন স্বপ্নের কাছেই স্বপ্ন বন্ধক রাখার ভাগ্য,,,
জীবন কভু আপন,কভু পর
জীবন কভু সত্য,,কভু মিথ্যা।
জীবন কভু বিষ,কভু অমৃত।
জীবন কভু প্রদীপ আলো, কভু সলিতা।
জীবন কভু গোপন,কভু প্রকাশ।
জীবন কভু দেখা কভু অদেখার বহর।
জীবন কভু প্রেম,,কভু ঘৃণা।
কভু সময়,কভু অসময়,,
অসময়,,
অসময়,,
অসময়,,,


জীবন রসহীন হতে হতেই রসময়,
রসময়,
রসময়।
আবার
রসময় হতে হতেই
চৈতালী প্রণয়।