১)
তুমি লক্ষ্মী হতেই পারো না,,,
বদলে গেছে দেশ,,, বদলে গেছে নদী,,,বদলে গেছে মানুষের মন
তবু তুমি কেন বদলাও না,,,,।
তুমি লক্ষ্মী হতেই পার না,,।


তুলসীতলার মাটি এখন ইতিহাসের কথা,
সিদুর সিথি কপাল তিলক
এ এক অন্য রূপকথা,,,
এখন তোমার হাতের ছুঁয়ায় ফসল ফলে না,,,
মাঠের গরু মাঠেই রয়, আর ঘরে ফিরে না,,,
তুমি লক্ষ্মী হতেই পার না
এখন হতেই পারো না,,,।


গার্মেন্টেসের বুকে তুমি সূর্যটা খাচ্ছ কেড়ে,,,
পাহাড় চুড়ায় বসে তুমি ইন্দ্রাণী হচ্ছ বারেবারে।
তবু তুমি অস্পৃশ্যা আর ডাকিনী যোগিনী অলক্ষণা,,,
তোমাকে দেখলে ফসল মাঠে
পোকার আনাগোনা।
তুমি লক্ষ্মী হতেই পারো না,,,
এখন হতেই পার না,,,


২)
এ মাটির গন্ধ শুকে দেখ,,,
রক্তের ঘ্রান পাবে,,,হাজার মায়ের চোখের জলে বিজয় হল যার ঘরে


বাতাসে কান পেতে শুনো
ক্রন্দন শুনতে পাবে,,,কোটি জনতার হাহাকারের দরে মুক্তি এল যার ঘরে,,,


এখনো কত মায়ের বুকে
বুলেটের চিহ্ন, আছে, শুকুন শিয়ালের মুখ হতে আজকের পতাকা যে আমাকে দিয়েছে


এখনো যারা মাটি ছুঁয়ে কবর আপনার খোঁজে,,এই মাটিকেই  বেহেস্ত মানে শহীদের পাশে শুয়ে,,।


৩)


মেঘের জলে মেঘ কি কভু ভিজে
এ নগরে?
দয়াল তোমার লাগি দুখ সাগরে,,,
তোমার আত্মা দুখে কেদে মরে।


তোমারে খুঁজিয়া দয়াল কত কি যে করে
আগুন মাঝে আগুন খোঁজে পুজা আর পার্বনে।
তুমি বিধি আমার মাঝে আছ নিরন্তরে
আলোর সাথেই ছায়া তুমি ভবের মাঝারে।


কেহ গেল গয়া কাশি মক্কা মদিনা,,,
মাটি হতে প্রাণ জন্মে যেথায় সেথা গেল না।
তুমি আছ তটে জলে,পবন অনলে,,,
প্রাণের মাঝে প্রাণ তুমি ওহে দয়ালরে


রুবেল বলে ওরে মানুষ,,,ভাবো তুমি কে
তোমারে ছাড়িয়া ঈশ্বর চলিয়া গেলে।
আপন ঘরে রেখে জল,, কি খোজ বালুতে
তোমার কাছে না থাকিলে সে নেই কোথারে,,