আমাকে চট করে একটু রাগিয়ে দে তো দেখি,,,
আমি তোর সাথে একটি কবিতা লিখব,,
নাদুস নুদুস কবিতা,,,
যে কবিতা কভু শুনেনি মহাদেবী মহাদেবের কাছ থেকে,,,
সারা জীবন গেল যার তপস্বীরর পাশে
শুধু বসে বসে,,,


আমাকে একটু জাগিয়ে দে-তো দেখি
বিড়ালের গায়ে জল ছিটিয়ে দে,,
আমি তোর ঘরের হাড়িতে বিদ্রোহ এনে দিব
এনে দিব তোর নিত্য দিনের কাজের তালিকায়
কারো কথা ভেবে কে না সাজিতে চায়?
তোর হাতের ঝাড়ুটাও বসে থাকবে সেজে,,,
লবণের কৌটায় থাকবে শুধু লিপস্টিক,,
হাড়ির কালিতে নানান কাজল নানান চোখের,,
তেলের বোতলে এত সুগন্ধি এই মাত্র পড়বে ধরা,,
ফ্রিজের ভেতর এত সুন্দর জগৎ নাড়বে কড়া,,
থালা বাসন কোসনে এত যে পিরিতি চলে
গোপনে গোপনে অসভ্য ভাবনায় ভাবনায়,,,
এই প্রথম প্রকাশ হবে তোর জমানায়,,,
বাথরুমের পর্দাটা বেশ সাহসী নির্লজ্জ,,,
প্রেমের বর্ষবরণ শিখিয়ে দিবে কামনায়,,,।
দিবে রান্না ঘরের দা বটি কিবা চাকু,,
কাটাকাটিতেও এত প্রেম করে এত আকুপাকু।
যতন করে পাপোশ খানি বলবে তোরে,,,
পায়ের ছোঁয়ায় যে কত প্রেম,,,
কে জানেরে তা
থেকে শুধু ঘরে,,,!


আমাকে একটু খোলা মাটেতে নিয়ে যাবি হাত ধরে,,,
আমার হাতে দে অনুভব বিধাতার
নোংরামির সূত্র চিন্তন হতে,,।
আমি তোর ব্যাগের ভেতরে লাগিয়ে দিব ষড়যন্ত্র,,,
সেখানে সাপের মত জেগে উঠবে আপনারই মন,,
ভাববি বাদাম ওয়ালাও যদি হত বাদামের মতন,,,
চা ওয়ালার কেটলিতে যদি চা নয়
থাকত সেই নিজে বসে,,,
ভাববি,গাছের আড়ালে আড়ালে দুনিয়াটা যদি যেত ঢেকে,,,
তাহলে সবচেয়ে বেশি কর্পুর নির্লজ্জ হতি তুই এ জীবনে,,
হতি আইসক্রিম ওয়ালার বক্সের
প্রতিটা আইসক্রিম আপন কিশোর মনে।
তোর পায়ের নিচের মাটি হতে উঠে আসত
লম্বা ঘাস,,,তোকে ছুঁই  ছুঁই রবে,,,।
রাস্তার পরে ইট গুলিও দুষ্টু বুকে চেয়ে থাকত তোর পানে,,,
তোর গায়ের ঘামেও জেগে উঠত
ততটাই সুগন্ধি মহুয়া,হাস্না হেনা আমার তরে,,!
তোর লাগি যতটা ঘাম তুই
ঝরাতি আমার দেহে।
যতটা ছক্কা লুডু খেলিস আপনারে সাথে,,,
ততটাই সাহসী হয়ে,,, ওরে
চোখ টিপে দেখ না একবার আমার দিকে,,,
আমি তোর রাজ্যের সকল পশুকে
পবিত্র ষাড় দেব বানিয়ে,,,
গাভী গুলি উন্মাতাল বেহায়াপণায়
থাকবে না আর  ঘাসের সম্মুখে,,
পায়ের চটি করবে বিদ্রোহ তোর সাথে,,,
তোর চুলের ক্লিপ তোকে ইচ্ছেমত নিয়ে যাবে
আমার অরণ্যে,,,
যেখানে তুই আর তোর মন ছাড়া
নেই, কেউ নেই ক্ষণিকের জন্যে।
নেই তোর নকল জীবন আসল জীবনের কাছে,,,
খাটের নিচে পরে থাকা একটা কিছু
এত যে প্রেমী
বুঝবি শুধুই পাশে বসে,,,


দে, দে না একটু চট করে রাগিয়ে,,,
আমি তোর চুলের সাথে আমার চুলের দেই
মন্দ স্বভাব জাগিয়ে,,
আমার তপস্যা নয় নিদ্রিত নয়নে,,
পাশে জাগ্রত মহাদেবী রেখে,,,।
আমি বরং জাগাতে চাই আরো আরো তাকে,,,
পুষ্পবাণে নয়,,,
চোখের বাণে,মনের বাণে,আত্মার বাণে....
দেনা চট করে আমায় একটু রাগিয়ে,,,
কিবা শীতল জল বিড়াল গায়ে,,,
আমি আবার তপস্বী হই,,,মদন রোগে।