আজ এই দিনে,,,কেবল এই দিনে,
রক্তাক্ত আটটি পদ্ম ফোটে
স্থলের মাটি ভেদ করে সূর্য অভিমুখে,,,!!
সুখের সোনামুখি আটটি করে ঘড়ির জন্ম হয়
কর্মের সীমানা ধরে,,প্যারিস হতে শিকাগো!!
শিকাগো হতে দুনিয়ার প্রতি ঘরে ঘরে...
কিন্তু এই আটটি ঘড়ি সত্যি কি পেয়েছে স্থান,,
সর্ব স্থানে, সর্ব জ্ঞানে, সর্ব কর্মে?
নাকি এখনো প্রতিবেশির মত
অচেনা অজানাই রয়ে গেছে
সেই বোনটির চোখে,,
যে রাত দিন সুইয়ের ভেতর
নিজের রক্তনালী ঢুকিয়ে
বানাচ্ছে নামী দামী বাহারি পোশাক।
যার রগের সুতায় সজ্জিত রাজ পোশাক পরে
সভ্যতার চাকচিক্যময় রাজপুত্র-পুত্রী গণ হচ্ছে
আরো রাজ,,,আরো চাকচিক্যময়!
যার অভুক্ত উদর হতেই ভরে যাচ্ছে
কাটা চামচের থালায় নানান স্বর্গীয় খাদ্য,,,!
আর নরকের সাথে পাল্লা দিয়েই
বেঁচে আছে সেই কৃষক,,
যার ঘামের গন্ধেই সুবাসিত হয়
বাসমতি চাল হতে দারুমতি বিরিয়ানি,,,!
যার পরনের ছেড়া পোশাকের বদলেই
মখমলের পর্দা ঝুলে সভ্যতার নিত্য নতুন আবাসনে।


এই আবাসনের ছোঁয়াও কি পেয়েছে,,,সেই জীব!
যারা কাজের বিনিময়ে খাদ্য খোঁজে  
পথে ঘাটে,,,,,
নামী দামী বাবুদের শহরের ডাস্টবিনে,নালায়!


ওরে পায়নি ওরা ছোঁয়া পায়নি
না না ওরা পায়নি খাবারের ঘ্রাণ
পায়নি  চিকিৎসা, পায় নি শিক্ষা,,,
পায়নি ওরা বসন পায়নি ওরা স্থান,,,!
পেয়েছে শুধু মাটির উপরওয়ালাদের হুকুম,,
পেয়েছে নীতিহীন হতে নীতির আদেশ,,,
তাই ওরা চা বাগানে কুলি হয়ে
জীবন নয় মরণের চাষ করে প্রতিদিন,,,প্রতিক্ষণ।
শিশু শ্রমে হর্ষিত মুখে সাজায় সভ্যতার চাহিদা
চা স্টল হতে অজানা নানান বুদ্ধির বেদনার ফ্যাক্টরিতে।
তাই ওরা কাজ করে কসাই এর নিয়ন্ত্রনে,,
শুদ্ধ টাই লাগিয়ে বিশুদ্ধ ব্যাংকে নির্ঘুম নিরালায়,,!
ওরা কাজ করে কোম্পানি নামের
নানান ভণ্ডামির ফেরিওয়ালায়,,,
ওরা কাজ করে মৃত আত্মায় জীবিত দুনিয়ার
প্রতি স্তরে,,প্রতি আয়তনে
কাজ করে তান্দুরির ভেতর
আপনার চর্ম পুঁড়া রুটি করে,,,
কাজ করে পারিশ্রমিক হীন আপনার ঘরে,,,
পতি দেবতার সুনিয়ন্ত্রিত স্বর্গে,,,,।
কাজ করে কভু পুরুষ,কভু নারী,
কভু বৃদ্ধ, কভু শিশু হয়ে,,
তবু তারা মানুষই ভাবেনি আপনারে,,,!!


যে পতিতা রাত দিন শুয়ে যায়
পতিত সভ্যতার সাথে,,,
সেই আবার কবে জানবে,,কেমনে করে?
এও যে কর্ম,,এ ও যে পরিশ্রম,,
এরও যে খদ্দের আছে,
এরও যে সুনামি চাহিদা আছে,,লুকায়ে আড়ালে,,,
তবে সে জেনে গেছে দালাল কারে বলে!
সভ্যতা কারে বলে!!


ওরে শ্রম, ওর ধরম,,
উঠ উঠ জেগে উঠ হাতে হাতে,,
পেটের ক্ষুধার চেয়ে অধিকারের ক্ষুধা
নিয়ে নে হাতে কিবা মাথে,
ভাঙ্গরে পাষাণ ভাঙ্গরে ভগবান,,
যে বসে আছে দালালের মন্দিরে,,,
পথের উপর টেনে নিয়ে আস তারে,,
বুঝিয়ে দে শ্রম বলে কারে!
শ্রমিক বলে কারে?
সভ্যতা বলে কারে?
ঈশ্বর বলে কারে?
মে দিবস বলে কারে?


( সকল শ্রমিক ভাই বোন,বন্ধু-বান্ধবদের প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
শ্রমের সম্মান যে করে না তারে সম্মান করিও না।)


#########
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
০১/০৫/১৮