আজ ১৬ ই ডিসেম্বর, আমাদের বিজয়ের দিন।তাই এই দিনে আমার এই লেখাটি নবীন প্রজন্মকে উৎসর্গ করে গেলাম।যারাই বাংলার বুকে জন্মনিবে,,লেখাটি তোমাদের জন্য লিখে গেলাম।শুধু চোখ বন্ধ করে একবার চিৎকার করে বলবে " জয় বাংলা",,,
তারপর যদি পড়তে চাও এই লেখাটি পড়িও।আর আমাকে ক্ষমা করিও এই জন্য যে আমি প্রবাসী।
---------------রুবেল চন্দ্র দাস।



একটা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি,, তবে
দেখেছি একটি দেশের কতটা প্রয়োজন
একটি মুক্তিযুদ্ধ।
হতে পারে সে নতুন,হতে পারে পুরাতন
হতে পারে আগন্তুক,,
তবে এই প্রয়োজন যুদ্ধের ময়দানে  
দেখছি বার বার
দেখেছি  সেই মায়ের কতটা দরকার
যে পুত্রের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বলবে,,,
যা,,, যা বাবা যা,,,
যদি মাকে ভালবাসিস
তাহলে এই মাটিকে রক্ষা করিস,,নিশঙ্কচিত্তে।


রক্ষা করিস,,,সেই সব মাটির কীট হতে মাটিকে
যারা মাটিতে বসত করে মাটিকেই বানাতে চায় ছাই,,
মাটিকে দাস বানাতে চায়,,
ওই সব যবন দের আনন্দফুর্তিতে,
সেই সব জানোয়ারের মুখে লাগিয়ে দিস তালা
থাবার নখে বসিয়ে দিস আরেকটা
সুন্দরবনীয় থাবা
যারা সুন্নতের চেহারায় উন্নতির পথে
বার বার বসিয়ে দিচ্ছে বালুয়ানী মতলব।
সেই মতলবের গলায় কালীকা পা দিয়ে
ভৈরবী নৃত্যে ধর অস্ত্র,,,
যে অস্ত্রের নাম সততা,উদারতা, মানবতা,,
এককথায়,, বাঙালির বাঙালি  নীতিকথা,,,!


যে নীতিকথার পেয়ালায় পদ্মার জল ভরে দিচ্ছি
ভরে দিচ্ছি মাধবকুন্ড হতে সীতাকুণ্ডের
শীতল অনুভব,,
যেখানে জন্ম নিয়েই
প্রথম চুমুক দিয়ে মাতৃস্তনে--পেয়েছিলি শান্তি,,
ঠিক তেমনি এক প্রশান্তি ফেরত চায়
আজ এই  পদ্মা,,,এই মেঘনা,,,এই যমুনা
আর  চেনা অচেনা খোয়াই।
ওই দেখ মাথার উপরে শকুনের দল উড়ছে
ওরা ভিখারীর থালায় এক বিন্দু খাবার
কেড়ে নিতে চায়,,
ওই দেখ খেজুরের দেশ হতে আসছে
কালো কাপড়ের হায়েনা দল,,
পত্রিকায়, টিভিতে,আধুনিক নিত্য নতুন পথে
ওরা ভাইয়ের বুক হতে ভাই
বোনের বুক হতে বোন
ছিনিয়ে নিতে চায়,,,
ওরা চায়,,,দেহের কাপড় মাথায় তুলে
অন্নের হাড়ি ভেঙ্গে করে দিতে খান খান,,,
ওরা নবান্নকে গিলে ফেলতে চায়,,,
ওরা পহেলা বৈশাখকে ধর্ষণ করেতে চায়
আপনার নগ্ন লিঙ্গ নজরে,,,
ওরা তাহারুশের মাঠের মত মাঠ বানাতে চায়
প্রতিটা নারীর জীবনে,,,
ওরা চায়,,বালুর বেদনাময় অশান্তির মত
অশান্তি ছড়িয়ে পড়বে বাংলার ঘরে ঘরে,,,।
ঝাপ দিবে শিশু, ঝাপ দিবে বৃদ্ধা,
যাপ দিবে নারী পুরুষ সর্বোপরি মানুষ
ওই সাগরে,,
যার পেছনে থাকবে,,,,ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়ার
তরতাজা নিত্য নতুন অভিজ্ঞতা,,,।


আর কিছু পারিস আর না পারিস
এই বন্দুক দিয়ে ঝাঝরা করে দে ওদের বুক।
লন্ডভণ্ড করে, বুঝিয়ে দে ওদের
সপ্তবীরশ্রেষ্ঠ বীরবাঙ্গালির গর্জন!
বঙ্গবন্ধু হতে বঙ্গকন্যার চেতনাময় লাল বারুদে
ওই সব পিশাচের পিশাচিত অভিজ্ঞতা বিলাস
ধ্বংস করার জন্যই আজ তোর এই যুদ্ধ
আজ তুই মায়ের হাতে সন্তান বিসর্জন
পবিত্র বিসর্জন,,গৌরবের বিসর্জন।


যে বিসর্জনের সুরে সুরে
আজিকার মুক্তিযুদ্ধ কর বাবা,,কর,,
আবার একটা মুক্তিযুদ্ধ কর,,,
যারা মানবতাকে নাস্তিকতা বলে
হাত রাঙ্গাচ্ছে চাপাতি তোষণে, ভাষণে,
ওদের বুকে খোদাই  করে লিখে দে,,,
বীর বাঙ্গালীর ষোলই ডিসেম্বরের নাম।
থাপ্পড় মেরে বুঝিয়ে দে,,,
সাতই মার্চ ভাষণের স্ফুলিঙ্গে জন্ম নেওয়া
তোদের জন্মের সংবিধিবদ্ধ অভিধান।
জানিয়ে দে জগজিৎ সিং অরোরা গণ
আজও জীবিত,,,
আজও জীবিত রবীন্দ্রনাথ, জীবিত কাজী নজরুল,,
আজও জীবিত ইন্দিরা গান্ধী,,
আজও জীবিত ওসমান গণি,,,
আজও জীবিত শহীদ জননী
আজও জীবিত বীরাঙ্গনা সন্ধ্যা ঘোষ হতে
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।
আজও জীবিত আমার সোনার বাংলা
আজও জীবিত হাসন,লালন,রাধারমন
আর কবিগানের নিত্য নতুন সারথী।


এই বুঝিয়ে দিতে দিতে,,
রক্তের অক্ষরে মাটির বুকে লিখে রাখিস
আগত বিশ্বের জন্যে,,,
শুনো হ্যা নবীন বিশ্ব,নবীন দিনের নবীন হাওয়া,,
বোর ক্ষেতের চালের গন্ধে গন্ধে
উন্মাতাল হয়ে চিনে নাও ওদের,,,
চিনে নাও ওদের রাখালী বাঁশীর সুরে সুরে
পাগল হয়ে সবুজ মাঠের সবুজ প্রান্তরে,,
সদাই চিনে রাখো ওদের,,,
সদাই প্রস্তুত থেকো মুক্তিযুদ্দের ভেতরে
অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধের তরে,,,


যারা বাংলার লোক গান কেড়ে নিতে চায়
যারা মেরে ফেলতে চায়
একবাড়ির সাথে অন্যবাড়ির নানান গল্প,,
যারা বাংলার নারীর শাড়ি নিতে চায় ছিনিয়ে
যারা ছিনিয়ে নিতে চায়,,,
রক্ত দিয়ে কেনা একুশে ফেব্রুয়ারি,,,
যারা খুন করতে চায়,,,
বাংলার মাটির ভেতরে
ভেতরের গর্ভবতী শেখরের মত
বাংলার শালীনতা,ভদ্রতা,নম্রতা,,,
যারা বিজয়ী হতে চায় ধর্মের ঠিকাদারী লয়ে,,
যারা বিজয়ী হতে চায় মিথ্যের বেশ্যামী নিয়ে,,
তাদের জন্য তুমিও,, তোমরাও
এক মুক্তিযোদ্ধা,,,
নবীন দিনের নবীন মুক্তিযোদ্ধা!!


ওরে বুকে কান পেতে শুন
জয় বাংলা,,জয় বাংলা বলে
চিৎকার করে, করে শুন,,
শুন নয়ন ভাসিয়ে মাত্র একবার গেয়ে
"আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালবাসি
চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি,৷ "


আমরা এখনো মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র হাতে
মুক্তিযুদ্ধ নিবাসী।


################
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
১৬/১২/১৮