বড় হচ্ছে,,,,
হ্যা গৃহের ডাস্টবিন মেয়েটি বড় হচ্ছে
গ্রামের কোম্পানি ভুমিতেই জন্ম নেওয়া
প্যাকেট তুলসী তলার পাশে সবার অলক্ষ্যে
আরেকটি লাল গোলাপ চারা বড় হচ্ছে,,,
গাছটি বড় হলে যে ফুল দিবে,,,
সে ফুল তো তুলসী তলাতেই আসবে
সুর সুর করে।
তাই না?


না আসবে না,,,,,
চেয়ারময় নিম তলা বলল, এ ফুল
এ গ্রামে?হা হা হা,,,
নারে অধম না,,,এ ফুল এ গ্রামের
কোথায় কোন কাজে লাগবে না,,,!!
না শ্মশানে না যজ্ঞে
না পাতালে, না উপরে
কোথায়ও এ ফুল হবে না গৃহিত।


বাচ্চা প্রসব করেই কোন এক জননী বলল
অলক্ষ্মী ফুল,,রাক্ষসী ফুল তা দিয়ে আবার
এ গায়ের মাটির পুজো,,,,?
ছি! ছি!,, যার জন্মের সাথেই মাতাবৃক্ষ,,
জারজ ফসলের দায়ে যায় যমের করায়ত্বে!
সেই ফুল হোকনা  গোলাপ কিবা গন্ধরাজ
ক্ষমা নেই তার,,ক্ষমা নেই ভবে,,
পাঠিয়ে দাও তারে বনবাসে,,,।
ভিন গায়ে গিয়ে বুঝক নালা অপয়া জন্ম
কে কতটা চুম্বনে ভালবাসে!!


বট বৃক্ষ পাতা নেড়ে বলল,,,হ্যা তাই তো।
এ গ্রামে'র পথ দিয়েই কত দেহ চলে গেল শ্মশানে
কত ধুলো বালি হয়ে গেছে উধাও,,,
সেখানে ভিন গ্রামে যত শীঘ্র পাঠানো হবে
মাতা খাওয়া এ ডাইনী,,,
ওরে গ্রামের অমৃত  কল্যাণ যে
তখনি,, কেবলি তখনি।


কিন্তু তুলসী বেদীর পাশে
অযাচিত ঘাসে আবৃত্ত মৃত্তিকার গোলাপ,,,
অন্তরে অন্তরে, দেশে হতে দেশে জুড়িল
অন্তরের অন্তহীন বিলাপ,,,
বলিল কন্ঠের স্রোতে অকুণ্ঠ চিত্তে,,
জন্ম আমায় দিয়েছে যে স্বর্গ মাটি,,,
তাকেই জিজ্ঞেস করি
আমার কি মিথ্যে?
আর কিই-বা  খাটি?
অনাথ অসহায়ত্বে যদি
পুস্তুকহীন গ্রামের গাছের ভেঙে যায় অন্ধ ডাল
বকুল তলার আড্ডায় আসে শুধু মনগড়া হালচাল
যদি ভুল পথে চলে যায় আলোর নদী
ওরে ভিন গ্রামে বিদায় হউক এক্ষুনি,এক্ষুনি


অত:পর হঠাৎ এক হাড়ির কালি মেঘলা দিনের বেলা
ভিন গ্রাম থেকে বিবাহ সর্প কোদাল নিয়ে
আসল কজন মানুষ বেশি,,ওরা কারা,,,,?
নিশ্চুপ অসহায় হরিণী গোলাপ গাছ,,,
ঘাসের আবৃত্ত থেকে নিশ্চুপ সম্মতিতে
করেছে বিষ পান,,,
মাটি থেকে কোদালের আঘাতে তুলে নিলো
মাটির অপয়া প্রাণ,,,,।


বিয়ে হয়ে গেল অপয়ার
বিয়ে হয়ে গেল অমঙ্গলি হাওয়ার।
শান্ত হল বিনা অনলে ফুটন্ত তেল চারপাশ
অনাথ ভাগ্যের কপালে দিয়ে
বিয়ের শাস্তি, স্বয়ম্ভু চিত্তে।
ওরে চারিদিকে শুধু উলুধ্বনী উল্লাস
চারদিকে শুধু বনবাস।
কে শুনে বল এমন মেয়ের
অনাথ রোদনের প্রকাশ।
বিদায় মেয়ে বিদায়,,,,
নারী জন্মে বিধাতাই যে আসেনি ধরায়
করতে,,,,
বিধাতারই অবতার বিকাশ।