বৃষ্টি ভেজা রাস্তাটার উপর দিয়ে
চপ চপ করে একটি গাড়ি যাচ্ছে,
শব্দটা যেন কোথায় মিশে গেল হৃদয়ের সাথে,,,,
জ্বানালার পাশেই আলমারির দরজায় ঝুলানো আয়না,,,
আর তার সামনে দাঁড়িয়ে ভিজে চুলের তাজা
জল গুলির দিকে তাকিয়ে ভাবা ছাড়া আর কিইবা উপায়,
চুল ভিজে,,চুল শুকায় আবার ভিজে আবার শুকায়,,
ওই তো প্রতিবেলা সাজুগুজো করে কেউ রাস্তায় বের হয়,,
আর কেউ রাস্তাটাকে টেনে নিয়ে আসে ঘরে,,,
কিন্তু কেউ কি জানে তা?
আয়নাটার কথাই ভাবো,,,
সারা দিন দেখিয়ে যাচ্ছে সবাইকে,,,
কভু নিজেকে দেখতে পেরেছে কি এক পলক?
পারে নি,,,পারবেও না,,,
নারীদের সেজেগুজে থাকাই যে এক কাজ,,,
বেঁচে থাকার এক পথ,,,
কোন পথ দিয়ে এক পথিক হেটে যায়,,
আবার কোন পথ দিয়ে হাজার পথিক,,,,।


কিন্তু পথ তো পথই,,,


এমন সময় মসজিদের মাইকে,,চার্চের ঘন্টায়,,
মন্দিরের পূজার আহবানে,,,
সানাই বাজিয়ে উঠল,,,,
আশ্চর্য সানাই,,কি এক অদ্ভুৎ কাজ তার,
যেন ঈশ্বরের এক হাতে চোখে এনে দিচ্ছে জল,,,
আর অন্য হাতে মুখে এক মুটো হাসি!!
কিন্তু এই হাসিটি হাসতে পারবে কি সে?
দেয়ালের উপর টিকটিকির পায়ে
হাটতে পারবে তো জগৎ সংসারে?
দাম্পত্যের করাতে কতই রক্ত দিতে হবে তাকে?
কত রক্ত করে রাখতে হবে সাদা,,,,
কে জানে?
রাস্তার উপর দিয়ে তবু ছপছপ করে যাচ্ছে গাড়ি
কেউ ভিজে,,আবার কেউ ভিজেও না ভিজে।