আল মাহমুদের প্রস্থান


নৈঃশব্দের মৌন মিছিলে অতন্দ্রিলায়
মরণের নীরবতায় ছেয়ে আছে আকাশ
হয়তো তারাও জেনে থাকবে; এক নক্ষত্রের পতন,
সোনালি কাবিনে মোড়ানো জীবনের অবসানে
তাঁর কবিতার মতো শুক্রবারে ডেকেছে মরণ।
বিরাশি বসন্তের অবসানে জীবন সায়াহ্নে এসে
নাদিরা বেগমের কাছে চলে গেছে
কী ভীষণ অভিমানে ভালোবাসার কবিতাকে রেখে,
হয়তো তাঁর অর্ধাঙ্গিনীর ডাকে সাড়া দিয়ে
মরা তিতাসের ফুলেফেঁপে উঠার স্বপ্ন নিয়ে বুকে।
কালের কলসিতে বিন্দু বিন্দু করে
বয়সের বলীরেখা জমেছে কালের পরিক্রমায়
কিংবা চক্রবর্তী রাজার অট্রহাসিতে শুকিয়ে গেছে প্রাণ,
পাখির কাছে ফুলের কাছে জীবনের জয়গান শোনায়
তাঁর মরণেও ইউসুফ জুলেখা আজও অম্লান।
এ যেন দ্বিতীয় ভাঙনের গান, আল মাহমুদের প্রস্থান
কবিরা কেন যে বুড়িয়ে যায়!
কিংবা বুড়িয়ে যেতে বাধ্য হয়,নতুনদের স্থান করে দিতে,
আজ শহীদ মিনার আর বায়তুল মোকাররমে জনারণ্য
লোক-লোকান্তরের কবির কি মূল্যায়ন হলো আদতে।
আহত কবির গানে তো তিনি কবিতার বিজয় দেখেছেন
আসলে তো আহত আমাদের ঘুনে খাওয়া কাল
তিতাসের জলের প্রহারে আজ তীর ভাঙ্গে না,
পানকৌড়ির রক্তে রঞ্জিত হয়ে আছে মহাকাল
অলৌকিক যৌবনের দেশে গেছে, অসীম তার সীমানা।


রুবু মুন্নাফ
১৬-০২-২০১৯
দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা।