ভোরের শিশিরের ছোঁয়া পেয়ে প্রিয়তমা জেগে উঠে
তার কপোল ভিজে যায় তরল স্পর্শে,
ঘুম ঘুম চোখে এসে দাঁড়ায় ঝুল বারান্দায়
ভাবে, বুঝি এসেছিল তার প্রিয়তম বাতাসে মিশে।
কেমন ঘূর্ণিপাকে বাতাস ঘুরে ঘুরে তাকে ছুঁতে চায়
দিতে চায় আদর প্রিয়তম'র, ভরাতে চায় ভালোবাসায়।
প্রিয়তমা কপট অভিমান করে, বাতাসকে ছুঁতে চায় না
মন তার কান্নায় ভরে, ভাবে সে কেন নিজে এলো না।
তার শরীরের কতটুকু গন্ধ বাতাস বয়ে আনতে পারে
তার স্পর্শের কতটুকু সুখ বাতাস ধরে রাখতে পারে!
ও বাতাস তুমি বরং ফিরে যাও, প্রিয়তম'র কাছে
আমার হয়ে বলো তাকে-
প্রিয়তমা তার তাকে ছাড়া কিভাবে, ক্যামনে বাঁচে।
প্রিয়তমা বরং প্রতীক্ষায় থাকুক ভগ্ন মনোরথে,
আকাশের ঠিকানায় জানিয়ে দিক তাকে
অপেক্ষা তার পুরাবে না কখনো ভালোবাসার পথে।
এই বাতাসে, ওই আকাশে ভালোবাসা মাখামাখি
পরানে তবু বাঁধবো তাকে হৃদয় গহীনে রাখি।
তার অপেক্ষা, তার প্রতীক্ষা, পুরাবে না কখনো জানি
একটু আদর, ভীরু স্পর্শ, এটুকু শুধু ভাগ্য মানি।


রুবু মুন্নাফ
২৩-১১-২০১৮
দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা।