কবিতার বন্ধ্যাত্ব বড় সকরুণ
কেমন দুমড়ে মুচড়ে দেয় ভেতরটা
ফালা ফালা করে কাটে তবু রক্তটা হিম হয়ে যায়,
এই বুঝি ছিটকে বেরিয়ে এসে আর্তনাদে কেঁপে উঠে
কেমন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকেও মনে হয়
কোথাও দেখা হয় না;নিজেকে মনে হয় কতটা অসহায়।


আমাদের জীবনেও বন্ধ্যাত্ব আসে
জীবনের মানে কী তা খুঁজে নিতে বেগ পেতে হয়,
মাঝ রাতে কখনো ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে মনে হয়- কে আমি?
কি নিয়ে বেঁচে থাকা, কি তবে জীবনের অব্যয়।
এক অদৃশ্য তলোয়ার ঝুলে থাকে আমাদের সিঁথানে
এই বুঝি কচ করে আয়ুটুকু কেটে নিয়ে নেয়,
তখনি মনে হয় জীবনের হেঁটে চলা তো সামান্য বাগানে
আর জীবনের নশ্বরতায় কুঁকড়ে বন্ধ্যা করে দেয়।


কবিতার স্বতঃস্ফূর্ততায় কখনো উষ্ণ প্রসবণ নামে
ঘুচে যায় হঠাৎ বন্ধ্যাত্ব, কলমের শোণিতে নামে লালাভ
জীবনের বন্ধ্যাত্ব হয়তো কোনদিনও ঘুচবে না
সব থেকেও হাহাকার করে বুকটা কেঁপে কেঁদে উঠবে
তবু এর মাঝেও জীবনে এক অদ্ভুত শিহরণ নামে
বেঁচে যে আছি,এই কী জীবন!তা কখনো জানা হবে না।


রুবু মুন্নাফ
১২-১০-২০১৮
দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা।