দিনে দিনে সব বিষ শুষে নিয়ে চলেছি
কেমন ক্লিভ মনে হয় নিজেকে আজকাল
কোথাও বোধের গম্যতা নেই, এক রকম চলে যাওয়া
একাকীত্ব বরং বিষিয়ে তুলেছে জীবনে নেই মুখরতা,
দহনকালে পতিত জীবন আজ উল্টে যাওয়া হাওয়া
নীলকন্ঠ পাখির বিষ হজমে জীবনে আসে অসাড়তা।


ফুলে ফুলে উঠে বুকের নিঃশ্বাসে থমকে থাকা ব্যথা
চাপা কান্নার উদ্গত শিহরণ কি জানি হারালো সখা
এত আলো দেখি চারপাশে কেমন জলমলে সুখী বারতা
কি হলো পাখির এত আর্তনাদ নীল বিষেও বিমুখতা,
রাত্রি জানে এ ব্যথার মানে কত দামে তা কেনা
দুঃখ পোষা কান্না মেশা দিনের আলোতে দেখতে মানা।


এত কাজ করে সারাদিন ধরে আলোতে তবু ভয়
আমারে যেন কেউ না দেখে বুকে থাক লালিত বিস্ময়।
যামিনী তুমি আঁধারে লুকাও কত রমণীর চোখের জল
নিশাচর বুঝি বুঝতে পারে আলোতে কতটা অনল।


আমার অধরে কতটা ছোঁয়া ছিল উষ্ণতার প্রসবণ
আলিঙ্গনে মিশে ছিল ভালোবাসার সাতকাহন।


রমনার মাটি ছিল সাক্ষী, আরো জানে ঘাসফুল
শহীদ মিনারের বেদিতে আছে হারানো তুমি বকুল।
বৃষ্টি কতটা সহায় ছিল রিকশার হুড টেনে দেয়ার
খুঁনসুটি ভরা ভালোবাসা আজো স্মৃতির বড় কারবার।


জানি না আমি কতটা দোষী, কতটা তুমি নির্দোষ
অনল বর্ষী হাহাকার আমার কাঁপাবে খোদার আরশ।
ব্যথা বেদনায় নীল হয়ে যাই, আমি কী নীলকন্ঠী পাখি!
নিজের বিষে দংশিয়েও আমি, তোমাকে আগলে রাখি।


কান্না না, আর মানে না, দুমড়ে মুচড়ে যায় বুক
কতটা পাষাণে হৃদয় বাঁধিলে, কোথায় খুঁজিলে সুখ
এত এত লোক চারপাশে আমার তবুও আমি একা
থাকুক যত ব্যথা আমার থাকুক জমে আমার বুকে সখা
এই যে কোলাহল, বৃষ্টির জল, থমকে থাকা আকাশ
সবই তো যাচ্ছে চলে, আমার তবে কেন হলো সব শেষ।


রুবু মুন্নাফ
১৩-০৮-২০১৮
দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা।