(রুবাইয়াৎ/ লিখনকাল- দ্বি-প্রহর, ০৭. ৩১.২০১৪ ইং,)


স্বদেশী জোনাকী গুলো ছোট্ট ছিল
ছোট্ট, অথচ আঁটসাটো আর তীব্র
উজ্জলতা হার মানিয়ে যেতো
আজকের সময় সমীরনের জোনাকীগুলোকে ।


অন্ধকার অথবা চাঁদোয়ার
নিঃশ্ছিদ্র অথবা বিস্তীর্ণ সমতলে
আমি কেবল একাই ছিলাম
বিশুদ্ধ একাকীত্বের সমতলে |


স্বপ্ন ছিল ঝোলা ভরা
দিগন্ত বিহীন স্বপ্ন ;
যাই ভাবতাম , ঘটে যেত
অন্যকোন সময় সমীকরনে |


মধ্যরাত পরবর্তী উদাসী  চাঁদের
পানে চেয়েই হেঁটেছি,
ফোকাসড শিশুর
খেলাচ্ছলে ।


নদীর পাড়ে বসা শোঁ শোঁ
শব্দগুলো
আজও বেশ প্রাণবন্ত
সদ্য ধরা চিতল মাছের মতো –


মাছগুলো সব খেলাচ্ছলে
প্রশংসায়ই মেতে রইতো,
মধ্যরাতের ভরা জোছনায় ,
তখন একাকী ছিলাম না ।


আজ এতগুলো বছর পেরিয়ে
ভার্জিনিয়ায় জোনাক দেখি,
একটু বেশি-ই বড় যেন
অথবা ঠিকই আছে !


মধ্যরাতে পোটোমেকের টলটলে পানিতে
শুধুই চাঁদের আলোর সমন্বয়
এলোমেলো নৌকোগুলো কি কিছুটা দৃষ্টি কটু !
অথবা ঠিকইতো আছে ।


চাঁদের পানে চেয়ে
খেলাচ্ছলে হেঁটেছিও বটে,
প্রায় চলে গিয়েছিলাম
সুজুকি আর মারুতির তলে ।


নদীর পাড়ে শোঁ শোঁ শব্দও শুনেছি
মধ্যরাতের নৈঃশব্দে
তবে বাড়ি ফিরেছি টিকেট হাতে
‘অযাচিত ঘোরাঘুরি - পঞ্চাশ ডলার’ ।


মাছগুলো খেলাচ্ছলে এখানেও
খেলে চলেছে , আপন মনে,
তবে দগদগে ঘাঁ-গুলো ঠিকই দেখতে পাই -  odd !
নাকি ঠিকই আছে !