মনে পড়ে সেই সৃষ্টির আদি ভোরে,
তুমি নামের শ্বাশত সূর্য দেখে,
  আমার মহা-কালের তন্দ্রা গিয়েছিলো টুটে,
সেই আলো পেয়ে গিয়েছিলো মুছে-
শত জীবনের শত কষ্টের দাগ!
হয়েছিলো মনে এই বুঝি ঝরিবে ক্ষণে,
ফুল হয়ে না-হয় বৃষ্টির মতো।
সেই অমর প্রেমের অবিরাম বর্ষণ ধারায়,
যখন প্লাবন নামতো  আষাঢ়ের ঘোর অন্ধকারে,
দু’চোখ আমার  তখন বন্ধ করে,
গাইবো হাজার বছর আগের সেই গান!
তোমার আমার স্মৃতি মনে করে,
লিখে যাবো একবিংশ শতাব্দীরর মহা কাব্য।
হয়তো সেদিন তুমি থাকবেনা আর-
বেদনার জলে ভাসা এই নীল সাম্পানে,
পাখির মতো চোখ তুলে আর-
দেখবেনা নশ্বর পৃথিবীর  রঙিন মাঠ চেয়ে।
জানি সেদিন একা একা পথে,
হেঁটে যাবো একা তারা নিয়ে হাতে!
তোমার গাঁয়ের মেঠো পথে প্রান্তরে।
পথভোলা বাউলের বেশে থাকবো মিশে,
তোমার বাড়ির কাঁঠাল পাতার সবুজে,
সজনে গাছের গায়ে লেপটে থাকা হলুদে-
উঠানের কোনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই,
প্রকাণ্ড আম গাছটি যখন ফিরে যায়,
তার হারানো চিরচেনা সেই যৌবনে!
তখনও আমাকেই পাবে গাঢ় সবুজের আড়ালে।
আমি ছিলাম আমিই থাকবো অবশেষে,
ফিকে হবে একদিন যা ছিলো চারপাশে।