সৃষ্টির আদি ভোরে,
তোমাকেই দেখে ছিলাম বলে,
ধন্য হয়েছে জীবন!
সেই রূপের কথা ভেবে,
কতবার জন্মেছি আমি -
মানুষের গর্ভের ভ্রূণে,
পাখিদের সাদা ডিমের ভিতর,
বট বৃক্ষের বীজে-
আমের মুকুল ফুল হয়ে,
জুঁই চামেলি'র বেশে,
জন্মেছি সহস্র কোটি বার-
এই বাংলার জমিনে।
যতবার জন্মেছি মরেছি ততবার,
আসা যাওয়ার পথে -
দেখা হয়নি তোমার সাথে!
তারপর এলো মাহেন্দ্রক্ষণ,
ফেরদৌসের সুউচ্চ আসনে বসে,
পরমেশ্বর আমন খেয়ালে,
আবার পাঠিয়ে দিলো এখানে,
মানুষের দেহ নিয়ে,
জন্মাবো আমার মায়ের উদরে।
চারদিকে স্তব্ধ নীরবতা,
থেমে গেছে পাখিদের কোলাহল,
গভীর রাতের শেষে,
প্রকৃতির দীর্ঘ আঁধার শেষে,
আবার এসেছি ফিরে
রমজান মাসের দ্বিতীয় রজনীতে,
সহসা জননী আমার,
আগমনী অদৃশ্য  বার্তা পেয়ে,
হটাৎ উঠেছিলো কেঁদে!
সেই কান্নার আওয়াজ শুনে,
পরম করুণা করে,
দিয়েছিলে প্রকৃতির দুয়ার খুলে।
আমি সেই পথে,
এসেছি তোমার পৃথিবীর বুকে।