স্বপ্ন,তুমি কি কখনো আমার হৃদয়ের,
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখেছো?
এই সাগরের বিন্দু বিন্দু নোনা জল,
তোমার  আবেগের স্পর্শে,
অদৃশ্য হয়ে যায় বাতাসে!
সহস্র কোটি নক্ষত্রের ভিড়ে,
তুমি নামের এক শ্বাশত উল্কাপিণ্ড!
হটাৎ জ্বলে উঠেছিলো বহুকাল আগে!
এ হৃদয়ের সুপ্রশস্থ সীমাহীন  উর্ধ্ব প্রান্তরে!
অমরত্বের আলো হয়ে!
আসন পেতেছিলে এই গুহ্য মন্দিরে!
আজও তোমার নামে সূর্য ওঠে,
মঙ্গলের নিরব নিঃস্তব্ধ মরুদ্বীপে!
নব জীবনের আশায় জন্ম নেয়,
অসংখ্য প্রেমের কবিতা'র শব্দের বৃক্ষ!
আজ-ও এই জোভিয়ান গ্রহের,
বায়বীয় গ্যাসের ঝড়-ঝঞ্ঝায়,
ভেসে আসে ওই স্বর্গীয় প্রেমের,
সুষমার অবিরাম ঝর্ণা ধারা!
আজ-ও শনি'র বুকে তোমাকে খুঁজে পাই,
এই লোহা-নিকেল বরফের কণায়,
মিশে আছে তোমার অস্তিত্বের শেষ রশ্মি!
পাথরের গায়ে, গ্যাসের গভীরে,
প্রতিটি শিলাস্তরে সুক্ষ্ম কোনায়!
দিনের সচ্ছ  আলোতে-রাতের আঁধারের--
মিশে আছে তুমি শব্দের বিচিত্র রঙ!
আকাশের অধীর পাখিদের মত,
উড়ে বেড়াই মহাশুন্যের ঠিকানার খোঁজে!
একদিন ফিরে আসবে এই সাহারা'র কোলে,
বধু বেসে নয় শ্বাশত বন্ধুত্বের কান্ডারী হয়ে!