শারদের ফিকে কুয়াশার বুকে,
আবছায়া অন্ধকারে হরিণের মতো,
কে যেন মৃদু পায়ে হেঁটে চলছে,
আমার গাঁয়ের এই মেঠো পথ ধরে -
হেঁটে যায় আবক্ষ ললনার মূর্তি!
যাকে দেখেছিলাম ভাটির দেশে,
শিউলি ঝরা অঘ্রাণের শেষ রাতে,
নিঃশব্দে এসেছিলে আমার কাছে,
স্বর্গীয় হাতের স্পর্শে কম্পিত মনে,
খুঁজে পেয়েছিলাম ফেরদৌসের সুখ!
রাতের মহাকাব্য আজ বিলুপ্ত,
হয়ে গেছে কালের মহাসাগরের,
তবুও হৃদয় আকাশে বার বার,
ফিরে আসে তোমার কল্পিত মুখ,
কখনো চৈত্রের প্রখর রোদে,
কখনো হেমন্তের কুয়াশা হয়ে!
উপলব্ধির সীমানা পেরিয়ে তোমাকে,
তোমাকে নিয়ে সপ্ন দেখি,
কবিতা লিখি গান গাই,
কল্পনার রঙে তোমাকে আঁখি,
মনের আলপনায় মাধুরি মিশিয়ে,
তোমাকে সাজাই স্বপ্নলোকে,
পৃথিবী নামের ছোট্ট এই গ্রহের,
মাঝে বিভেদের অদৃশ্য প্রাচীর,
আমাকে স্বরণ করে দেয়,
তোমার আমার কত ব্যবধান!
যাযাবর মন নিয়মের শৃঙ্খলে,
বন্দী হয়ে উঁকি দেয় আড়ালে,
তোমার ভালোবাসা পাওয়ার লোভে,
বিসর্জন দিয়েছি অনুভূতির সমুদ্রে!
স্বর্গীয় মুখ ভেসে উঠবে বলে,
আমার মনে ঢেউয়ের তালে,
আরও কিছু পুরাতন চাওয়া,
ভিড় করে মনেরআঙিনায়,
দ্বিধা দন্দ ভুলে যদি,
ফিরে আসে সেই স্বপ্নচারী!
ভাবতেই চমক দিয়ে উঠে,
দেহ মন সমস্ত শরীর!
কত অপেক্ষা'র দিনরাত্রি শেষে,
তোমাকে আপন করে পাবো?
দ্বিধা- দন্দের মাঝে ঝরে পড়ে,  
কামনার  সব স্বপ্নের মুকুল!
ভুলে যাও হৃদয়ের দাবী,
জীবনের বেগ তোমাকে দিয়েছে,
নতুনের এক জীবনের সন্ধান,
সম্ভবনার দোহাই দিয়ে একদিন,
চলে যাবে দুর অজানায়--
সময়ের প্রয়োজনে ভুলে যাবে!
এইতো জীবন এইতো বাস্তবতা!