তোমাকে ভালোবেসে যে পথিক,হারিয়েছে জীবনের পথ!
এক কোটি বছর আগে--
আনমনে কেবল তোমাকেই খুঁজে চলেছে  উন্মাদের মত!
গ্রীষ্মের দুপুরে কাঠফাটা রোদে,
শরতের স্নিগ্ধ শিশির ভেজা সবুজ প্রান্তরে!
আষাঢ়ের ভরা গাঙের ঢেউয়ের মাঝে,
নিকলী হাওরের বুকের সদ্য ফোটা কলমিলতায়!
তোমার সোনা মুখ খুঁজে চলেছে বহুকাল!
বহু রাত! বহু দিন!
জীবনের ছন্দ ভুলে নিজেকে সপে দিয়েছি,
কবেকার মোহের রাজ্যে!
সেই কবে দেখেছি আমার হৃদয় মন্দিরে,
সুউচ্চ আসনে বসে, কোন এক শিউলি ঝরা অঘ্রাণে!
আমার হাতের কনিষ্ঠ আঙুল ছুয়ে বলে ছিলে,
তোমাকে ভালো ভালোবাসি!
তোমার ওই নিষ্পাপ সোনা মুখের,প্রেমের অমৃত ধারায়,
আমার পৃথিবী কতটা কম্পিত!হৃদয় সাগরে হটাৎ উঠেছিলো কামনার জলচ্ছাস!
প্রকৃতির সেই মাহেন্দ্রক্ষণে নিজেকে হারিয়েছি বহুকাল আগে!
গভীর বিশ্বাসে পাড়ি দিয়েছি, জীবনের এই বক্র পথ!
আবেগের সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে,
ভেঙে গেছে হৃদয়ের কঠিন তীর!
ক্ষয়িষ্ণু মর্মর পাথরে অঙ্কিত হয়েছে,
এক পরাজিত প্রেমিকের নাম!
কালের  নির্ঘুম রাতের পাখির মত,
গুনেছি কষ্টের নির্মম প্রহর!
সেই ফেলে আসা সেই মিঠামইন হাওরের,
প্রাচীন বটবৃক্ষের নীচে বসে,
আর কত কাল, আর কতটা তপস্যা করলে ফিরে আসবে তুমি?
অবুঝ মনের মেকি প্রবোধের খেয়ালি আশার বালুচরে,
আজও তোমার নাম লিখি,
স্বপ্নে,কল্পনায়, বাস্তবের বিচিত্র রঙে!
তোমাকে ভালোবেসে,
বিলাসী মনে ঠাঁই দিয়েছিলাম হৃদয় মন্দিরে!
আজও সেই স্তব্ধ গৃহে,
তোমার আরাধনায় ব্যস্ত নগরীর দ্বার!
কত বিশ্বাসে, কত আশা সঞ্চার করে চলেছে পথিক!
অন্তহীন এই মহাযাত্রায় সহযাত্রী বিহীন!
তবুও চলেছে মুসাফির,একাকী
ওই দুর্গম গিরি পার হবে বলে!
অতৃপ্ত প্রাণ সহসা বলে ওঠে,
কোন দিন আকাশ ছুঁতে পারবেনা-
তবুও আকাশের ওই নীল রঙের,
আল্পনায় রঞ্জিত হৃদয়ের মন্দির!