জীবনের এই মন্দিরে,
যেদিন তুমি এসেছিলে একা-
ঘুমের নূপুর পরে,
বাতাসের বুকে ঝংকার তুলে,
বসে ছিলে পাশে -
কোন এক  নিভৃতের অন্ধকারে,
বলে  ছিলে কথা-
কবেকার হেমন্তের শেষ প্রহরে।
তখনও আমি উড়েছি-
পথহারা বুনো শালিকের মতো,
ঈশান থেকে নৈঋত কোনে,
অগ্নি থেকে বায়ু!
হেমন্তের কুয়াশা পেরিয়ে যখন,
থমকে যেতাম বাতাসে,
কোন এক নগরীর তোরণে,
হটাৎ তোমাকে দেখে,
ক্লান্ত হৃদয় মন্দিরের আসনে,
নেমে আসতো শ্রান্তি!
তারপর আবার হটাৎ করে,
অদৃশ্য হয়ে গেলে।
আমি অবচেতনে বসে বসে,
আজও প্রতীক্ষায় আছি-
একদিন জানি আসবে ফিরে,
বাউলের এই অন্তরে।