আমি তো সেই কবেই মরে গেছি,
অথচ কবর হয়নি আজও-
জীবন্ত লাশের পোড়া গন্ধে,
কাঁপিয়ে  উঠেনা স্বজনের নিষ্ঠুর হৃদয় প্রাঙ্গন!
নিরবে নিভৃতে যে প্রাণ মরমে মরমে হারিয়েছে,
তার অন্তিম শ্বাস!
সেই প্রাণে কি বাজে বলো,
মহা-মিলনের করুণ বিরহের সুর!
যাতনার তাপে পুড়ে গেছে যার,মনের মন্দির!
আজ সেই উপাসনালয়ে আসবে কি,
কোন অচেনা পুজারী!
ফুল হাতে কেউ করবেনা আর,
প্রেমের আরাধনা!
ক্ষয়িষ্ণু মর্মর পাথরে দাঁড়িয়ে,
একাকী রুদ্র তোমার,
কল্পিত মঞ্চে নেচে চলেছে,
উন্মাদের মত!
বিধাতার অমোঘ চক্রে বন্দী হলো,
বিশ্বের যত স্বপ্ন!
এই তাপের গভীরে লুকিয়ে তুমি,
সপ্নগুলোকে জাগিয়ে রাখো!
শ্রাবণের ঘোর সন্ধ্যা বেলা,
কে যেন সহসা আনমনে--
হ্যালির ধুমকেতুর মতই,
উদয় হলো, আমার আকাশে!
তুমি জাগ্রত বলে,
শুধুই অবহেলা করলে দান!
কারণে অকারণে ভেসে উঠে,
হতাশার খেয়ালি ঊষা!
এমনই করে কোন একদিন,
কবর হবে,জীবন্ত মুর্দার!
সেই দিন আকাশের বুক থেকে,
এসো কিন্তু মোর সমাধি দেখতে!