আর কতদিন এই ধুধু মরু প্রান্তর,
তুমি নামের এক পশলা বৃষ্টির-
অপেক্ষার প্রহর গুনে,
চাতকের চোখের নীড়ে জমা হবে,
কত কামনার অদেখা বিচিত্র মেঘের স্বপ্ন !
এই পাহাড়ের গায়ে এতদিনেও,
আঁকা হয়নি তোমার কাল্পনিক রুপের,
স্বর্গীয় মুখের প্রতিচ্ছবি!
ঝর্ণার অবিরাম শব্দের মাঝে,
আজও  শোনা হয়নি তোমার কণ্ঠের মৃদুস্বর!
সঙ্গী বিহীন এই দুর্গম গিরি পথে,
শিহরিত পথিকের প্রাণে!
হটাৎ গুমরে কেঁদে ওঠে,
তোমাকে পাওয়ার আকুলতায়!
নিদ্রাবিহীন চোখ এখনো জেগে আছে,
এই তপ্ত সাহারার দীর্ঘ  বুকে!
অথচ তুমি ছিলেনা কোন কালে,
আমার এই হৃদয় আকাশের চাঁদ হয়ে!
তবু্ও আলো দেখি এই আঁধার পৃথিবীতে!
যদিও সেই কামনার জ্যোতি হারিয়ে গেছে,
হাজার বছর আগের বিকৃতির অন্ধ গলির গভীরে! কোন এক শিউলি ঝরা ভোরে!
তুমি হারিয়ে গেছো,
কোন এক  অচিন  রাজার দেশে!
এই হিমালয়ের সুউচ্চ চুড়া,
আজও বর্ষণ কামনায় তোমার বিরহে,
ঠায় দাঁড়িয়ে আছে কোটি বছর ধরে,
শুধু তোমার প্রতিক্ষায়!
আজও এই বনে কত ফুল ফোটে,
শুধু একবার তোমার ওই কোমল হাতের,
ছোঁয়া পাবে ব'লে চৈতন্য হারায়!
আজও আমার পৃথিবীতে প্রতিদিন ভোর হয়,
শুধু তোমাকে একটি বার দেখবে ব'লে!
আজও পাখি গান গায়,শরতের স্নিগ্ধ শিশির ভেজা ভোরে!
কখনো আষাঢ়ের বৃষ্টির ছন্দে মেতে উঠে অসংখ্য গাঙচিল!
আজও এই বাঙালি,যমুনা'র বুকে স্রোত বয়ে চলে চলে,
গ্রীষ্মের খরতাপে কিংবা হেমন্তের বিকেলে!
আজও শরতের গোধূলিতে, লক্ষী পুজোর মেলা বসে,
কত মুখ দেখি কত মানুষের ভিড়,
শুধু তোমাকে দেখিনা কোন দিন,কোন কালে!