স্রষ্টার ইচ্ছার মূল্য দিতে গিয়ে,
সেই কবেই তোমাকে হৃদয়ে ধারণ করে,
এই বুকের গহীনে ঠাঁই দিয়েছিলাম!
সৃষ্টির আদিতে কোন এক মাহেন্দ্রক্ষণে,
তুমি আর আমি ভিন্ন দেহে অভিন্ন সত্তার গভীরে!
দীর্ঘ রাতের সহচর হয়ে পথ হারিয়েছি,
মানব সভ্যতার ইতিহাসের সাক্ষী হবো বলে !
এসেছি এই পৃথিবী নামের  নশ্বর গ্রহে, মুসাফির হয়ে তোমার  এই মেকি সভ্যতার ভিড়ে!
দুর্গম গিরি পথে অনেক পথ হেঁটেছি, তোমার ওই হৃদয় মন্দিরে পুজো দিবো বলে !
সহস্র ফুলের কুঁড়ি হাতে নিয়ে,
শুপ্ত প্রাঙ্গণে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছি!
বহুদিন বহুকাল বহু বসন্ত ধরে,
শুধু একটি বার দর্শন পাবো বলে,
খুঁজেছি স্বপ্নের শহরে, কল্পনার আকাশে, নীলগিরি পাহাড়ের সুউচ্চ চুড়ায়! বাতাসে ভেসে আসা সাদা মেঘের গভীরে, কেবলই তোমার মুখ দেখি!
আজও এই  নিস্তব্ধ শহরে আলো জ্বলে উঠে, থেমে যায় নগরীর কোলাহল!
তারপর তুমি হটাৎ উদয় হও,
ওই আকাশের কল্পিত ধুমকেতুর  মত, উদয় হয়ে আবার হারিয়ে যাও কালের গহব্বরে!