পাওয়ার অধিকার নাই বলে,
আজও ভাসি চোখের জলে-
আজও সেই আগের মতোই,
স্তব্ধ উঠানের কোনে বসে,
কেবলই তোমার কথা ভেবে,
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠি!
আজও পড়ন্ত গোধূলি বেলা,
আনমনা হয়ে বসে থাকি,
বাঙালি নদীর পশ্চিম পাড়ে-
অপলক চাহুনিতে কতবার দেখি,
জলের বুকে ভেসে থাকা,
লম্বা ভুতুড়ে গাছের ছায়া!
এভাবেই একসময় নেমে আসে,
দিনের কোলে রাতের অন্ধকার!
তখন আমি চেয়ে দেখি,
পূর্ব পাড় ঘেষা পথ-
মনে পড়ে আজ হাটবার,
তাইতো দোকানীরা ফিরছে  পথে!
কেরোসিন তেলের  কুপী জ্বেলে,
কেউবা পোকামাকড়ের ভয় পেয়ে,
জোরে জোরে হাততালি দিয়ে,
হেঁটে যায় জীবনের পথ।
এসব দেখে দেখে আবার,
ফিরে আসি আপন জগতে -
মনে পড়ে অজ্ঞাত কথা,
এইতো সেদিনও মাঝ রাতে,
হটাৎ  তোমার কথা ভেবে,
যখ ঘুম ভেঙে যায় -
তখন চোখ মেলে দেখি -
কার্তিকের ঘোর অমানিশার অন্ধকারে,
যেন চারদিক ছেয়ে গেছে -
বেদনার গাঢ় নীল কুয়াশায়!
দূরের মাসকলাই মাঠ থেকে -
ভেসে আসে বিরহী সুর!
প্রিয়হারা সেই বিবাগী সুরে,
একলা ঘরে উতালা প্রাণে,
দুলে উঠে মনের খেয়া!
কোথায় স্বপ্ন কোথায় কল্পনা?
কোথায় হারিয়ে গেছে সুখ,
কোথায় মুখ লুকিয়ে আছে,
আমার পোষা পাখি ঠোঁট?
বহুদিন দেখিনা গাছের ডালে,
বহুদিন শুনিনা তার সেই -
কোমল ডানার মৃদু শব্দ!
উড়ে যায়না আমার আকাশে,
কথা হয়না কত দিন!
যখন মনে পড়ে আমার -
পাওয়ার অধিকার নাই বলে,
আমি আজ এত দূরে -
তোমার পৃথিবী ছেড়ে এখানে!
ধরাছোঁয়ার বাইরে ভিন্ন গ্রহে,
বেঁচে থাকার অভিনয় করে,
নিত্য ছটফট করি  একা-
পৃথিবী নামের অদৃশ্য কারাগারে।