কোন এক হিম নির্জন পৌষের রাতে,
তোমার পবিত্র কোমল হাত দুটো ধরে,
বসেছিলাম নির্জন কার্তিকের সন্ধ্যায়-
দেখেছি এই বাঙালি নদীর ওই পারে,
মনে হয় কারো ছায়া রূপে,
বেয়ে যায় তরী আবছায়া অন্ধকারে-
সেই প্রেত কঙ্কাল ছায়ামূর্তির সাথে,
পাল্লা দিয়ে ছুঁটে চলে জোনাকির আলো।
উজান স্রোতের টানে ভেসে চলে মাঝি -
ফেরেনা আর এই স্মৃতির ঘাটে।
তবুও মন ফিরে যায় কল্পনার দেশে,
আবার যদি দেখা হতো একবার,
আমার মনের ঘুমান্ত মাঝির সাথে-
কোন এক শ্রাবণের ঘোর অন্ধকারে।
সেই কল্পিত মাহেন্দ্রক্ষণের প্রথম প্রহরে,
সেই-সব স্মৃতির পাতা মনে করে,
হয়তো আবার গভীর তন্দ্রার ঘোরে,
ঘুম ভেঙে যাবে তোমার কথা ভেবে।
হয়তো সহসা জলে ভরে যাবে,
অতৃপ্ত আত্মার তপ্ত মরু-দ্বীপ-
তবুও এই প্রাণ অতীত ভেবে,
রচনা করবে নতুন দিনের কবিতা।
হয়তো দু'চোখের পাতায় ভেসে উঠবে,
অতীতের যত সোনালি রাতের আঁধারে,
ভেসে উঠা রূপালী চাঁদের আলো।
তবুও হৃদয় গেয়ে যাবে সেই গান-
আজও অতীতের কত কথা মনে করে,
উদাস মনে ফিরে যাই কল্পনার আকাশে,
মনে পড়ে  চৈত্রের মধ্য দুপুর বেলায়-
প্রচন্ড খরতাপে কিশোর  দেহ ক্লান্ত হলে,
ভোঁদৌড়ে ছুটে যেতাম মন্ডল বাড়ির ঘাটে,
অপলক চাহুনিতে দেখতাম সেই জলের স্রোত!
তারপর নিজের অজান্তেই কখন যে,
পরনের পাজামা আর পেরান খুলে,
ঝাপিয়ে পড়তাম বাঙালির ঘোলাটে জলে।