নিষ্প্রাণ মূর্তির নিকট ধন ভিক্ষা আর,
মনুষ্যত্বহীন মানুষের কাছে সাহায্য কামনা করা'র মাঝে,
আজ কোন প্রভেদ খুঁজে পাইনা বলে,
নিয়তির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তোমার বিচার দেখি!
দেখি তোমার ভালোবাসার অদ্ভুত খেয়ালের বশে,
কাউকে হাসাও কাউকে কাঁদাও কাউকে আবার -
ডুবিয়ে মারো ভাবনার অদৃশ্য সাগরের বুকে।
এসব দেখে বার বার মনে পড়ে -
কোথায় তুমি কোথায় তোমার ঐশী বাণী?
কোথায় হারিয়ে গেছে সেই শ্বাশত সাম্য!
এই দুনিয়ায় যে মানুষ তোমাকে ভুলে গেছে,
মত্ত হয়েছে ভবের বিলাসী রঙ্গ লীলায়,
তাকেই তুমি দু'হাতে বিলিয়েছো ঐশ্বর্যের সুখ!
গোলা ভরা ধান পুকুর ভরা মাছ,
ব্যংক ভরা টাকা সিন্দুক ভরা গহনা,
দেখি তাদের আলিসান বাড়ির পরতে পরতে,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অহংকারের বিচিত্র মুখোশ!
কিন্তু তোমার সৃষ্টির এই মহাবিশ্বের জমিনে,
কত মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে ঘুমিয়ে থাকে,
বেওয়ারিশ কুকুরের মতো ফুটপাতের ধুলার   ঘরে,
কত মানুষের ঘর নাই বাড়ী নাই,
উদ্বাস্তু জীবনের সঙ্গে নিত্য সংগ্রাম করে,
বেঁচে আছে অথচ তুমি  বিশ্বাস করো,
শত যাতনা শত কষ্টের আঘাত সয়ে,
ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর হবার পরও একটিবার,
তোমাকে তারা ভুলে যায়নি তোমার নাম।
এই কি জীবন এই কি প্রেমের প্রতিদান?
এই কি তোমার সৃষ্টির গোপন লীলা খেলা?
যদি তাই হয় তবে নিয়ে চলো -
তোমার দেশের সীমাহীন অকল্পনীয়  সুখের উদ্যাণে!
আমি যে অতি দুর্বল তাইতো সইতে পারিনা!
পৃথিবীর এসব দুঃখ যন্ত্রণার আঘাতের কষ্ট,
তাইতো বলি তোমার করুণার কোমল চোখে,
দেখো আমার এই জীবনের মাঠে ময়দানে,
কত কষ্ট কত যন্ত্রণা'র বিরহী অনলে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছি আমি!