যেখানে তোমাকে হারিয়ে ছিলাম,
সহস্র কোটি বছর আগে-
আজ সেখানেই দাঁড়িয়ে,
কল্প জগতের স্মৃতি স্বরণ করছি!
মনে পড়ে কোন এক শ্রাবণের,
ঘোর সন্ধ্যা বেলায়,তুমি আর আমি --
সীমাহীন খোলা প্রান্তরে বসে,
স্বপ্ন দেখতাম নির্জন দুপুরের!
কখনো আবার পাখি হয়ে,
উড়তাম সুনীল আকাশের নীচে!
কখনো তোমার ওই কোমল হাত দুটো ধরে,পাশাপাশি হাঁটতাম নীল নদের ধারে!
দিনের শেষে ক্লান্ত চাহুনিতে--
দেখতাম তোমার নির্মল মুখের হাসি!
আষাঢ়ের ভরা গাঙে--
পাল তোলা ডিঙি নৌকায় চড়ে -
অপলক দৃষ্টিতে অজস্র নক্ষত্র গণনা করতাম!
আজও সেই নদীর বুকে,
দক্ষিণের ঝির ঝির বাতাসে,
পাল তোলা নৌকা চলে---
আকাশে চাঁদ ওঠে সৃষ্টির অমোঘ নিয়মে!
আজও বেলা শেষে,
পৃথিবীর বুকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে--
আজও সূর্য আলো দেয়, আগের মতই!
যে পৃথিবীতে তুমি আমার ছিলে--
ভিন্ন দেহে অভিন্ন সত্তার গভীরে!
সেই পৃথিবী আজ আর নাই!
সেখানে ছিলো না কোন,জাতের বিচার --
ছিলোনা কোন,ধনী গরীবের ভেদাভেদ!
ছিলোনা কোন,দ্বিধা দন্দের স্নায়ু যুদ্ধের খোলা মাঠ!
ছিলোনা কোন, ভণিতা'র মেকি সভ্য প্রাণীর বসবাস!
ছিলোনা কোন, আভিজাত্যের অহমিকা'র প্রাসাদ!
সেখানে ছিলো শুধু, শান্তির সুধার স্রোতের ধারা-
সীমাহীন সুখের ঝর্ণার অবিরাম গান!
স্বর্গ সুখের অবিরাম সুষমায় ভরে যেত,
সেই জীবনের অভিধান!
আমার মনের পৃথিবী,
আজও তেমনই অবিকৃত রয়ে গেছে--
শুধু বদলে গেছো তুমি!
ভুলে গেছো সেই,
মাহেন্দ্রক্ষণের মধুর স্মৃতি--
ভুলে গেছো তোমার আমার,
বহু জন্মের গুহ্য ইতিহাস!