পালংকী'র এই শহরেও তোমার অস্তিত্ব খুঁজে পাই,
কখনো সাগরে নোনা জলে,ভেসে আসা সাম্পানের মাঝে!
কখনো নীল জলরাশির শেষ সীমানায় সাদা মেঘের গভীরে!
কখনো গাঙচিলের ঝাঁকের ভিড়ে,তোমার ছবি ভেসে উঠে মনের আয়নায়!
কখনো মনে হয়, ক্ষয়িষ্ণু প্রবাল পাথরের বুকে তুমিই লুকিয়ে আছো আমাকে দেখবে বলে!
কখনো অনুভব করি ঝাউপাতার ওই সবুজ অরণ্যে তোমার পদধ্বনি!
কখনো আবার হলি-ডে মোড়ের, সহস্র জনতার ভিড়ে, হটাৎ তোমার ছবি ভেসে উঠে হৃদয় মন্দিরে!
কখনো তোমাকে খুঁজে পাই, হিমছড়ির স্নিগ্ধ শিশির ভেজা বালুকণায়!
কখনো মনে হয় দুরের ওই, সুউচ্চ পাহাড়ের
গায়ে,চাঁদ হয়ে লেগে আছো সবুজ পল্লবে!
কখনো মনে হয়এই বুঝি, মাতামুহুরির স্রোতে তুমি ফিরে এলে আমার দুয়ারে!
কখনো মনে হয় এই সেই নাফ নদী,
ওই আরাকানে তুমি আর বাংলায় আমি,
মাঝখানে বয়ে গেছে নাফ নামের সীমানা প্রাচীর।