কলার ভেলায় লাশ, সাথে ভেসে চলে এক স্বপ্নবান বধু।
হাঙর কুমির আসে, আছে ঝড়, অন্ধকার দরিয়ার বান,
লাশের শরীর থেকে মাংশ খসে, বেহুলার অসীম পরান,
কিছুতে টলে না স্বপ্ন, আকাংখার শক্ত হাত মেলে রাখে বঁধু …


ওলো ও বেদেনি শোন, ছোবল দিয়েছে বুকে জাত কালসাপ,
নীলবর্ন হয়ে আসে সোনার গতরখানা অঙ্গ জ্বলে বিষে,
কী সাপে দংশিলো লখা? ঘোরবর্ন সাপ ছিলো অন্ধকারে মিশে।
উদোম নাচন দিয়ে দুই কানে শোনা তুই মন্ত্রের আলাপ।


কী সাপে দংশিলো লখা! জীবন আন্ধার হলো, অঙ্গ হলো কালি,
এ-কোন সাপের বিষ জীবন নেয় না শুধু শরীর জ্বালায়,
পরান পোড়ায় নামে বিষের নহর যেন রক্তের নালায়-
দোহাই বেদেনি তোর, বিষের বাগানে তুই বিষহরা মালি


মন্ত্র দে,মন্ত্র দে তুই, ছোবলের ক্ষতে রাখ বিষমাখা ঠোঁট ।
বিষে নীল লখিন্দর ভাসে দ্যাখ পৃথিবীর কীর্তনখোলায়,
জলের উপরে ভাসে বিষাহত আকাংখারা, জলের ঘোলায়-
কী সাপে দংশিলো লখা, জীবনের নাড়ি কাটে বিষের কমোট?


ওড়ে আকাশে শকুন। উত্তর দিগন্ত ঘিরে কালো মেঘ আসে।
কেউ কি বেহুলা নেই স্বপ্নবান কোন এক তরুন বেদেনি?
স্বজন-রক্তের কাছে, স্বজন-হাড়ের কাছে দায়বদ্ধ, ঋনী?
কেউ কি বেহুলা নেই হাড়ের খোয়াব নিয়ে বৈরী জলে ভাসে??


২৭/০২/১৩৮৮
মিঠেখালি, মোংলা।