যে মেঘ বয়ে চলে আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে
অহিংস চিৎকার নিয়ে
তাকে তুমি দান করো করাল অভিশাপ,
যে জীবন কেটেছে নতুন সুতোর আশায়
নরম বিছানার বুকে যে হৃদয় পুড়েছে আমার
তার আর ভালো থাকার কথা নয়
তবুও তুমি যত সুখী হবে আমি পাবো তত শোক।
প্রাচীন স্তম্ভটি ধীরে ধীরে যাচ্ছে খসে
ইতিহাসের সবুজ পাতারা করছে ভিড়
সময়ের সৈকতে ছিলো যেসব পদচিহ্ন
কবেই গিয়েছে চলে পদদলিত জনতার লাশে;
এমনি কোনো এক রাতে
লাল-পরা তোমার শরীরের চারপাশে
বিভ্রম এসেছিলে যখন এই স্মৃতির ভেতরে
কেমন করে সুস্থির থাকি বলো?
স্নিগ্ধ ট্রেন চলে গিয়েছে স্টেশন ছেড়ে
হলুদ জাহাজ আসবে বলে
মৌলিক আশা বুকে নিয়ে করেছিলাম পাটিগণিত—।
ঝরে পড়ে শরীর হতে সময়
শার্টের বোতামগুলোর ঘুম ভেঙে গেলে চলে যায় দূরে
একান্ত বাঁশিটি সে-ও আজ বাজে না
এমনি অশেষ দানে
শূন্য করে এদিক তুমি পূর্ণ করেছো নিজেকে;
সুখের সৈকতে দাঁড়িয়ে
কিংবা ঝকঝকে নীল আকাশের নিচে
তোমার চোখের মতো সুন্দর শহরে খুব খুশিতে
বিলাস ব্যাসনে
স্বাদ ও সুচারু জীবনের ভাঁজে ভাঁজে
তুমি বড় ভাগ্যবতী বলতেই হয়
আর পতঙ্গের সাথে আমিও প্রতি রাতে
ছুটি আলোর দিকে
ক্ষয় হতে হতে ভাবি
আমারও ছিলো সুগভীর জলের হাতছানি
ঘ্রাণের সুচারু জমি
ছিলো নিজেরই ছায়ার ভেতরে সুকোমল বাতাস
তবুও কেনো এইসব ভুলে
এই পথে এসে
ছোট ছোট গল্প লিখতে গিয়ে লিখেছি মানবজীবন।