এত সুগভীরেও
এত নিখুঁত কম্পনে
কীভাবে নাড়িয়ে দাও চৈতন্য-বৃক্ষ?
পত্রহীন বিশুষ্ক ওষ্ঠহীন
জেনেও
কীভাবে জাগাও জাগতিক অভিমান?
ঝরাও সুতীব্র ঝড়ে
সবুজ হলুদ নীল লাল বিষ
এবং বৃত্তের ভেতরে
যখন ঢুকে পড়ে অমানবিক সন্ধ্যা
স্থিরতা ভেঙে দিয়ে
নিয়ে যায় আমার শব...
পরজন্মের সী-বীচে
দাঁড়িয়ে যখন দেখছি
বিভ্রান্ত সুন্দর
তখনই সংখ্যাহীন ঢেউ
তেড়ে আসে জনতা হয়ে, এবং হঠাৎ দেখি
অস্তিত্ব ও অনস্তিত্বের নৌকায়
আমি ছাড়া আমার কেউ নাই!