যেখানেই বসে থাকি চারিদিকে বৃত্তীয় শূন্যতা
যেখানেই হাত বাড়াই বেহাত হয়ে আসে ফিরে—
এখানে চেয়ারে বসে শূন্যতা পান করে যে ক্লান্তি
বাতাসের রং নিয়ে তার আর নেই সেই কৌতূহল।  


হৃদয়ের মাঠে ছিলো একদিন সতেজ সবজি
আরও গভীরে ছিলো সিংহের করুণ মরণ—
ভাঙা ইটের স্তূপ থেকে রাশি রাশি বিভ্রান্তি
ছুটে যায় পাহাড়ে, উঁচুতে আরও অনেক উঁচুতে
যেখানে সময়ের খেলাঘরে ভিড় করি আমরা।


শুয়ে আছি যেখানে যারা তারা শুধু জানে এই ব্যথা
কেউ পাশে থেকেও শীতের রাতে তারা খুব একা
ক্ষীণায়ু পতঙ্গের মতো আলোর দিকে যেতে যেতে
বুঝিনি সময়ের মৃত্যু ঘটে যাবে সময়ের জালে।


ঘামের জীবন কমে গেলে শ্রমহীন হবে যেদিন
শূন্যতার চাষী পাবে মস্তিষ্কের সংখ্যাহীন ভূমি
যারা এখনও চোখের নিচে আশা জেগে ঘুমায়
তাদেরও ঘুম ভেঙে যায় শূন্যতার এইতো লীলা।


কতদিন পাখি তার ঠোঁটে করে এনেছে মেদুর খড়
কতদিন ঝরে পড়েছে ঘুরে ঘুরে বৃষ্টি ও চোখের জল—
হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে যারা আজ
তাদের শব্দ থেকে ধীরে ধীরে মুছে যাবে ব্যস্ততা।