কোনো এক নিভৃত পল্লির মধ্যরাত থেকে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
কোনো এক লিচু বাগানের ছায়া থেকে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি।
সোনালি ধানের শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
নদীর জলে ঢিল ছুঁড়ে ছুঁড়ে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি।
কোনো এক শীতের রাতে জীর্ণ ঘর থেকে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
মানুষের দীর্ঘ ক্লান্তির মিছিল দেখে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
সভ্যতার শোভন পতন দেখে দেখে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
বুলেট-বিদ্ধ লাশের শরীর থেকে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
জোনাকির নিবুনিবু আলো থেকে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
বুকের ভেতরে চাপা থাকা লাভা থেকে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
রক্তের ভেতরের নীল সাইক্লোন থেকে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
চতুর্ভুজের ভেতরে তন্দ্রা নিয়ে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
শরণার্থী শিবিরের দুর্গন্ধ থেকে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা থেকে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
বিশ্ব নেতাদের ভোজসভা থেকে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
চৈত্রের সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলছি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি।
তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি নরকের নারকীয় যন্ত্রণা হতে
তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি মহাসমুদ্রের নিচে লুকানো মাছের ডানা হতে
তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি প্রতিদিনের অজস্র দৃশ্যের ভেতর হতে
তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি সবুজ গ্রেনেডে পুড়ে যাওয়া পতন হতে
তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি সান্ধ্য ব্যাঙের শরীরের ঘ্রাণ হতে
তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া বহর হতে
তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি যুদ্ধ শেষের বিজিত দেশের ভূমি হতে
তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি বেকার যুবকের ঘর্মাক্ত মানিব্যাগ হতে
তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি ডাইসেক্টিং টেবিলের অন্ধকার হতে
তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি জরুরি বিভাগের ক্ষীণ আশার হৃদয় হতে
তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি মায়ের চোখের মতো প্রতীক্ষা নিয়ে।