ধীরে ধীরে ভুলে যাবে
এই আমায়
এই বেদনায়
ভালো লাগে না
ঘুম আসে না
শান্তি পাই না।
ধীরে ধীরে ভুলে যাবে তুমি-
সুখের চৌরাস্তা জুড়ে তোমার স্বপ্ন
তোমার স্নায়ুর নদী শুকিয়ে যাবে
আমিও শুকিয়ে যাবো
একদিন যে চোখে মায়া ছিলো
একদিন যে ঠোঁটে অভিমান ছিলো
একদিন যে আঙুলে স্পর্শ ছিলো
একদিন যে হৃদয়ে ব্যাকুলতা ছিলো
সেসব হতে ধীরে ধীরে একদিন।
মনে হলে কষ্ট পাবে না তখন
দেখা হলে আশ্রয় খুঁজবে না তখন
বলবে না হাসিতে কেমন আছো?
স্মৃতির উপকূলে পাখি ওড়বে না
মনে পড়বে না শ্রাবণের যৌথ সন্ধ্যা
করিডোরে কাটানো সময়ের কথা
নক্ষত্রের নিচে হাঁটার কথা
ভুলে যাবে ধীরে ধীরে তুমি।
বেদনার বহ্নিতে জ্বলে জ্বলে
পৃথিবীর দূষণে ঘুরে ঘুরে
অনেক শীতের পাতার ভেতরে শুয়ে
একদিন শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে
হয়তো কমে যাবে কষ্টের বোঝা
তবুও কষ্ট রয়ে যাবে শরীরে
সবুজ পাতার নরম ওষ্ঠে
সতেজ সকালের চায়ের কাপে
ফেলা আসা কোনো অতীতের গানে
তুমি জেগে ওঠবে মৃত তিমির মতো।
মানুষ কীভাবে মানুষকে ভুলে যায়
চেনা মুখ কীভাবে অচেনা হয়
পরিচিত পথ কীভাবে ভুলে যায় পদচিহ্ন
এইসব ভেবে ভেবে
বিপরীতে দৃশ্যে তুমি আছো
জলের সাথে সুখে আছো
ছায়ার সাথে সুখে আছো
আমিও কষ্টে কষ্টে ভুলে যাবো
হয়তো অভিনয় করে যাবো
তোমার কথা বুকে চেপে
হারিয়ে যাবো নিজের-ই কোনো এক গলিতে।