বিষুবরেখায় তখন দীর্ঘ শোক,
ব্যক্তিগত পাপের যানজটে আটকে আছি আমি
কথা ছিলো ফিরে যাওয়ার।
সুপারইগোরা হল্লা করছে নির্জন ভীড়ে, পথ নেই আর
অথচ কথা ছিলো সফর শেষে মিলবো এখানে
এখানে তেমন চিহ্ন নেই আর, নেই কোনো সংকেত।
হলুদ দুপুরে সরীসৃপের মতো খুঁজেছি সমাধান
সংকট বেড়েই চলে স্নায়ুর ভেতরে
হঠাৎ প্লাবনে আমার মাংস ভেসে গেলো, শুধু কঙ্কাল-
পাখিদের নিজস্ব বসন্তে আসিনি বলে নির্বাসিত আজ।
যন্ত্রণা ছড়িয়ে আছে মাইলের পর মাইল যেন আমি
কোনো এক সীমানার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কাঁটাতার,
একটি পরিযায়ী পাখি আটকে আছে অবসাদে
সংবিৎ ফিরে আসলে দেখি শুয়ে আছি সোফায়।
কোনো এক পথ ধরে হেঁটে চলি, নিরন্তর চক্রে ঘুরি
জ্যামিতিক হারে অস্থিরতা বাড়ে, শব্দেরা কাঁদে
চিত্র বদলে গেলে কোনো সূত্র মেলে না তখন।
শাদা খাতা নিয়ে জন্মেছি নিজের অজান্তে
লিখেছে তাদের ক্লান্তি, এতটুকু জেনেছি যখন
এতটুকু বুঝেছি যখন, তেড়ে আসে সভ্যতার ষাঁড়।
চারিদিকে কারাগার, জনতার প্রাচীরে বড্ড অসহায়-
শীতের জলে খুঁজেছি কতরাত হরিণের কঙ্কাল
পৃথিবীর রসায়নে পাইনি খুঁজে আমার ক্লান্তির সমাধান।
বিষুবরেখায় তখনও দীর্ঘ শোক
অলৌকিক হ্যালুসিনশানে আমিও শান্তি খুঁজে বেড়াই।