কী করুণ দৃশ্যের ভেতরে রোজ বেড়ে উঠছি
ভাবতেই নষ্টনগ্ন শরীর থেকে ঝরে পড়ে—
অন্তহীন সব ক্লেদ কেটে যাবে—হায় বিশ্বাস
এতদিন পরেও বুঝতে পারেনি তৃষ্ণার ছল!
বিবর্ণ আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে জমেছে তীব্র নীল
দ্যাখো চারপাশে হৃদয়ের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে—
চুপসে যেতে যেতে কতটুকু বিলীন হবো আর?
নৈঃসঙ্গ্যের পেয়ালা ঠোঁটের কাছে নিয়ে বলি
পান করো, চারিদিকে মানুষের ভিড় যদিও
নিত্য সংক্রমণে পচে যাচ্ছে কালিক ফুসফুস।


রাতপ্রেমী পুরুষেরা বিভ্রান্তি নিয়ে জেগে থাকে
নদীর কাছে গিয়েও ফের ফিরে আসে তৃষ্ণায়—
কেউ কেউ চেয়েছিলো ঊর্ধ্বমুখী বৃক্ষের মতো
অথচ সবাই ছুটে যাচ্ছে সমতলের সন্ধানে।
আমি সেই বৃক্ষ যে ঝড়ের সাথে লড়াই করে
পেয়েছি নৈঃশব্দ্যের প্রজ্ঞা, শোকের সঞ্চয়।
সংখ্যাহীন হাতের ভিড় ভুলে যারা হেঁটেছিলো
নৈঃসঙ্গ্যের অভিশাপ নিয়ে আজ ঘুরছে তারা;
কারা তবে বাজাতে পারে মুখর মেদুর সঙ্গীত
কারা পড়তে পারে আমাদের পিপাসার্ত অক্ষর?