তেমন জ্যোতি নেই আর দুচোখে, তবুও দেখে চলছি
দেখতেই হবে স্বদেশের হস্তরেখা, চারিদিকে ঘনঘোর।
মাথার ভেতরে হলুদ ব্যাং ডাকে রক্ত বর্ষার জন্যে
তেমন অভিজ্ঞ নই, ভুলে গিয়েছে পুরাতন জ্যোতিষশাস্ত্র
অতীত জেনেছি, জানছি আমরা তবুও ভুলে যাই
ভুল পথে এসে দিশেহারা হয়ে যায় চতুর শিয়াল।
ভবিষ্যৎ বলে যাচ্ছি, যদিও দরজায় অনেক অন্ধকার-
স্নায়ুর ভেতরে শুনি মর্টারের অবিরাম শব্দ, চিৎকার
কাঁটাতারে লেগে আছে প্রিয় শার্ট, আমার স্বদেশ।
আমার ভেতর কেঁদে ওঠে কোনো এক শিশুর মতো
সেসব সবুজ ঘাসে বারুদের উল্লাস আসবে ভেসে
মানুষের চোখে চোখে জমা হবে হিংসার নিউক্লিয়ার
ফুসফুসে কালের মিউকাস রেখে যাবে মানসিক ব্যাধি,
হাত বাড়াতেই পেয়ে যাবে মুঠোভরতি হত্যা পরাজয়।
গাছে গাছে সবুজ পতাকা, আকাশে চেয়ে দেখবো
আমার ভূমি ভেসে যাচ্ছে অলৌকিক অন্ধকারে-
অনেক আক্ষেপ চুলে নিয়ে চলে যাবে জলের গভীরে।