মনে নেই ঠিক কখন কেনো আমাদের দেখা হয়েছিলো-
দুর্ভাগ্য, আমার প্রিয় দুর্ভাগ্য, শীতের রাত শেষ হয়নি
বসন্ত আসেনি এ বুকে আজও, নাকে পাইনি প্রিয় ঘ্রাণ।
তুমি ছিলে অনাহারী, অনিকেত, রোগা, চিকন গড়নের,
নোংরা, পরিত্যক্ত, কেউ তোমাকে প্রেম নিবেদন করেনি,
তোমার শরীরে ছিলো উৎকট দুর্গন্ধ, চুল আলুলায়িত
অথচ ইদানীং তোমাকে চেনাই যায় না, সুদর্শন দুর্ভাগ্য!
আমাকে চিবিয়ে চিবিয়ে তুমি তো বেশ সুখেই আছো
মদের মতো পান করে রাস্তায় রাস্তায় হল্লা করছো
স্নায়ুর ভেতরের সুখ কেড়ে নিয়ে তুমি বাজারে যাও
রাস্তার মোড়ে পা তুলে চা পান করো, সিগারেট ফুঁকো।
অনন্ত ক্লান্তি চোখে নিয়ে চেয়ে থাকি প্রজাপতির দিকে
স্টেডিয়ামে বসে বসে ভাবি দেখি বৈকালিক সুখের ভীড়
আমাকে সারাবছর খেয়ে চল্লিশ কেজি ওজনের দুর্ভাগ্য
দেড়শো কেজি সুখ নিয়ে শুয়ে থাকো আমার ওপর-
দুর্ভাগ্য, আমার প্রিয় দুর্ভাগ্য, কুমিরের চোয়ালের মতো
সময়ের গলি পেরিয়ে শুষে নিচ্ছো আমার নীল পাঁজর।